ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি : ঢাবি ভিসি

ঢাবি প্রতিনিধি: সবার মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি। ডাকসু নির্বাচন দিতে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আমরা যেটি করছি- আগে নেতৃত্বের বিকাশ, তারপর ছাত্রদের দলগত কার্যক্রম এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা- একরকম একটা সংস্কৃতি তৈরি করা। এই ব্যাপারগুলোকে সামনে রেখে কিছু কাঠামো আমাদের পরিকল্পনার মধ্য আছে। যেমন ধরুন ডাকসু। এই কাঠামোর মধ্যে যদি কেউ রাজনীতি করতে চান, আমরা চাই যে সেটি হোক। সবাই ওই চর্চার মধ্যে থাকুক।
তিনি বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে আমার জ্ঞান কম, আমি সত্যিকার অর্থে কিছু অভিজ্ঞ মানুষকে দিয়ে কয়েকটি কমিটি করেছি। এসব কমিটিতে বিচারপতি আছেন। একটিতে ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক এর মতো মানুষ, ওই মাপের মানুষজন আছেন। যাদেরকে আপনি সেই অর্থে কোনো দলের মানুষ বলতে পারবেন না। বহুত কষ্টে আমরা রাজি করিয়েছি।
উপাচার্য বলেন, এরপরে আমরা আরও তিনটি কমিটি গঠন করেছি ডাকসু কেন্দ্রিক। আমার কথা খুব পরিষ্কার। কোনোটি চাপিয়ে দেব না। এই কমিটিগুলো কাজ করছে- একটা দেবে গঠনতন্ত্র, একটি কমিটি দেবে আচরণ বিধি। একটি কমিটি ওভার অল পরামর্শ দেবে আমাদেরকে।আমাদের তো বিভিন্নমুখী মানুষ আছেন। বিভিন্ন দল-মতের মানুষ আছেন। এই মানুষগুলো কেউ কেউ অবসরে। তাদেরকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে বাসায় গিয়ে অনুরোধ করে এনেছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আসেন। এমনকি আমরা একজনকে নিয়েছি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার। আমাদের চাকরির প্রথম দিকে উনি এখানে ছিলেন। এ ধরনের সিনিয়র মানুষদের আমি অনুরোধ করে এনেছি, যাদের কমপক্ষে দুটি বাৎসরিক নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা আছে। তাদেরকে নিয়ে এসেছি। তারা আমাকে বলবেন, পরামর্শ দেবেন।
সর্বশেষ আপডেট জানিয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, মোটামুটিভাবে আমাদের এখানে এখন ১৯টি থেকে ২১টি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সক্রিয় আছে। সবাইকে আমরা ডাকছি। যারা সক্রিয় আছে তাদেরকে আমি ডাকবো। কে আসবেন, কে আসবেন না, তার চয়েজ।সাংবাদিকদের সাথে আলাদা করে মিটিং করেছি আমরা। শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন দলে আলাদা করে কথা বলেছি। ওয়েবসাইটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি লিঙ্ক তৈরি করে দেওয়া আছে। তারা ওখানে মতামত দিচ্ছেন। এই মতামতগুলো পাওয়ার পরে আমাকে তারা বলবেন যে, বৃহত্তর সমঝোতাগুলো হয়েছে এবং আমরা এখন এই মুহূর্তে বড় দাগে কয়েকটা পদক্ষেপ নিতে গেলে কেমন সময় লাগতে পারে সেটার একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী আমরা এগুবো, সিদ্ধান্ত নেবো, এটাই প্ল্যান। তবে দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ৫২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ উচ্চতায় শেয়ারবাজারের ৯ কোম্পানি