ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলাদেশের ওপর কেন শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প?

ডুয়া ডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একেক সিদ্ধান্তে তটস্থ হয়ে পড়ছে পুরো বিশ্ব। বিভিন্ন দেশকে হুমকি দেওয়া, অভিবাসীদের হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে ফেরত দেওয়াসহ একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি। এবার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল বুধবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নতুন শুল্ক ঘোষণা করেন।
এদিনটিকে আমেরিকার ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ইউএস টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নীতির লক্ষ্য হলো উচ্চ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সমাধান করা। বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল। ট্রাম্প পূর্বে বলেছিলেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যে বেশি শুল্ক আরোপ করবে, ২ এপ্রিল থেকে তাদের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে।
তবে ট্রাম্প পুরোপুরি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি তা করতে পারতাম; তবে তাতে অনেক দেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে।"
এখন পর্যন্ত আমেরিকা কী ভিত্তিতে এসব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে তা স্পষ্ট হয়নি। তবে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের ফলে বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ, ভারতের পণ্যে ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের পণ্যে ২৯ শতাংশ এবং চীনা পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের পণ্যে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার পণ্যে ৪৪ শতাংশ, তাইওয়ানের পণ্যে ৩২ শতাংশ, জাপানের পণ্যে ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের পণ্যে ৩১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ, মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের পণ্যে ১০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যে ৩০ শতাংশ, ব্রাজিলের পণ্যে ১০ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের পণ্যে ১০ শতাংশ, ইসরায়েলের পণ্যে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনের পণ্যে ১৭ শতাংশ, চিলির পণ্যে ১০ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্কের পণ্যে ১০ শতাংশ, কলম্বিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া, মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ, লাওসের পণ্যে ৪৮ শতাংশ এবং মাদাগাস্কারের পণ্যে ৪৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে রেখেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি