ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে
.jpg)
ডুয়া নিউজ: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আগামী মাসেই এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের আওতায় গঠিত তদন্তকারী সংস্থা ও প্রসিকিউশনের সমন্বয়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্তকারী সংস্থার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ বছরে সরকারপ্রধান হিসেবে নানা অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত প্রসিকিউশন বিভাগে জমা দেওয়া হবে।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নেবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ‘সুপিরিয়র কমান্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে ২০০৯-২০২৪ সময়কালের দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধের তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষত, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যার জন্য প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিবেদনের পাশাপাশি দেশীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর প্রতিবেদনও প্রমাণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তদন্তে ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যমের তথ্য সংযোজন করা হয়েছে।
আদালতীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং আগামী ১৮ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আসামি পলাতক থাকলে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত সংস্থা দ্রুত কাজ করছে এবং প্রতিবেদন শিগগিরই দাখিল করা হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ