ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বইমেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি কম
.jpg)
আমজাদ হোসেন হৃদয় : যতই দিন যাচ্ছে ততই মুখর হয়ে উঠেছে ‘অমর একুশে বইমেলা’ প্রাঙ্গণ। বিশেষ করে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বিকেলে যেন ঢল নামে। শুরুর কয়েকদিন খুব বেশি দর্শনার্থী দেখা না গেলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) মেলার ৬ষ্ঠ দিনে দর্শক সমাগম অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি দেখা যায়। স্টল-প্যাভিলিয়নেও দেখা গেছে ভিড়। স্টলগুলোতে দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, দর্শকদের ভিড় থাকলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি বইয়ের বিক্রি। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়তে পারে।
পুথিনিলয় প্রকাশনীর বিক্রেতা মাহমুদ বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কিছু বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত বই বিক্রি হচ্ছে বলা চলে। আমি বলব পাঠকরা মাত্র আসা শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে বই বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা রাখছি।
আহমেদ প্রকাশনীর প্রকাশক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'মেলায় যে হারে মানুষ এসেছে সে হারে বিক্রি হয়নি। অনেকে দলবলসহ স্টলে আসেন। তাদের মধ্যে কেউ বই কিনেন, আবার কেউ কিনেন না। তাই স্টলের সামনে জটলা থাকলেও বই বিক্রি তেমন বাড়েনি
শোভা প্রকাশের প্রকাশক মিজানুর রহমান বলেন, শুরুর তুলনায় এখন দর্শনার্থী মেলায় আসছেন তবে সবাই শুধু ঘুরছেন আর দেখছেন। বই কেনায় আগ্রহ অনেক কম দেখছি। বিক্রি প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক কম। আশাকরি আগামীতে বাড়বে।
প্রথমার বিক্রয়কর্মী আনাস জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় দর্শনার্থী বাড়ছে। আর আমাদের স্টলে বিক্রিও খুব কম নয় তবে প্রত্যাশা পূরণ করছে না। কাল (শুক্রবার) ছুটিন দিন থাকায় আশাকরি অনেক ভালো বিক্রি হবে। দর্শনার্থীর সংখ্যাও দিন দিন আরও বাড়বে। আমাদের এখানে সাজ্জাদ শরিফ সম্পাদিত ‘গণ-অভ্যুত্থানের সাক্ষ্য’ এবং অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখা ‘শেখ হাসিনার পতনকাল’ বই দুইটি বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাঠকরা অভ্যুত্থান কেন্দ্রীয় বই বেশি খুঁজছেন।
বইমেলায় ঘুরতে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমদাদুল আজাদ। তিনি বলেন, মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখছি আর কিছু লিস্ট করছি। শেষদিকে বইগুলো কেনার ইচ্ছে আছে। এর আগেও একদিন মেলায় এসেছিলাম। তার তুলনায় দর্শনার্থী বেশি মনে হয়েছে। আশাকরি শুক্রবার থেকে মেলা আরও বেশি জমবে।
আজ বৃহস্পতিবার অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর ষষ্ঠ দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। মেলায় নতুন বই এসেছে ৮০টি।
বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় 'স্মরণ: মাহবুবুল হক' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারিক মনজুর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাহবুব বোরহান এবং মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আজিজুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, মাহবুবুল হক বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে আজীবন নিবেদিত ছিলেন। প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণেই তিনি একজন মানবিক, সুশৃঙ্খল এবং সামাজিক দায়বোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তাঁর আলোকিত জীবন ও সৃজন আমাদের সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা জোগাবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- ঢাবি ছাত্রদলের ব্যতিক্রমধর্মী মিছিল, শুধু হাততালি