ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
ইভিএম সংরক্ষণে জটিলতা, সমাধানে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক : নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার অনিশ্চিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন এসব মেশিন সংরক্ষণে সমস্যায় পড়েছে। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রাখলেও স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য কোনো জায়গার ব্যবস্থা হয়নি। এ জন্য নতুন পরিকল্পনা করছে ইসি।
সম্পতি অনুষ্ঠিত ইসির জানুয়ারি মাসের সমন্বয় সভায় ইভিএম সংরক্ষণে নতুন পরিকল্পনার বিষয়টি উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সভায় ইভিএম সংরক্ষণে মাঠ কার্যালয়ে ওয়্যারহাউজ নির্মাণ বিষয়ে ইসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপ্রধান জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতামত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ভবনগুলো ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়।
এছাড়া যেসব উপজেলা ও জেলায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবন নেই, সেসব উপজেলা ও জেলায় নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যমান ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব বলে জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসির সিনিয়র সচিব বিদ্যমান অফিস ভবনের ঊর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি সভা আয়োজন করার নির্দেশনা দেন।
এছাড়া অতিরিক্ত সচিব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিশাখা থেকে গৃহীত ডিপিপিতে ওয়্যারহাউজ নির্মাণ এবং আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়সমূহ ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
এক-এগারো সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে। সে সময় তারা বুয়েট থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে একেকটি মেশিন তৈরি করে নেয়। ওই কমিশনের ধারাবাহিকতায় পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনও যন্ত্রটি ব্যবহার করে।
তবে ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি মেশিন অচল হয়ে পড়ায় তা আর ব্যবহার উপযোগী করতে পারেনি রকিব কমিশন। তারা বুয়েটের তৈরি স্বল্পমূলের ওই মেশিনগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে উন্নত মানের ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা রেখে যায়।
২০১৭ সালে কেএম নূরুল হুদার কমিশন বুয়েটের তৈরি ইভিএমের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দামে মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কাছ থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নেয় তারা। এতে মেশিন প্রতি ব্যয় হয় দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। হাতে নেওয়া হয় তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প।
রকিব কমিশন দেড় লাখ ইভিএম কেনে সেই প্রকল্প থেকে। তবে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা না থাকায় ১০ বছরের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও পাঁচ বছরের মধ্যেই ইভিএমগুলো অকেজো হতে শুরু করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ