ঢাকা, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নিলামে উঠল বেক্সিমকোর কারখানা-সদরদপ্তর 

২০২৫ নভেম্বর ২৬ ১০:২০:৩৬

নিলামে উঠল বেক্সিমকোর কারখানা-সদরদপ্তর 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। বড় অঙ্কের বকেয়া পুনরুদ্ধারে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্থাপনা ও জমি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি, যার আওতায় গাজীপুর থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যাংকটি জানায়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুদসহ মোট এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার বেশি বকেয়া ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় এসব সম্পদ নিলামে তোলা হচ্ছে। আগ্রহী ক্রেতাদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অ্যাসেস ফ্যাশনস লিমিটেডের এক হাজার ১৩৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের অংশ হিসেবে তাদের সম্পদ নিলামের ঘোষণাও দিয়েছে জনতা ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকোর যেসব স্থাপনা নিলামে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-

  • গাজীপুরে ৩,৫২৭ ডেসিমেল জমি ও কারখানা,
  • আশুলিয়ায় ১৪৬.৬৫ ডেসিমেল জমি,
  • নারায়ণগঞ্জে ৪৪০ ডেসিমেল জমি,
  • এবং ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ১৫ তলা করপোরেট অফিস বেলটাওয়ার।

এর আগে ২১ নভেম্বর ব্যাংকটি বেক্সিমকোর তিন প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেল লিমিটেড (ইউনিট-১ ও ইউনিট-২), আরবান ফ্যাশনস এবং অ্যাপোলো অ্যাপারেলসএর মোট কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিলামে তোলার আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তবে সরকারের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক লিজিং ব্যবস্থায় বেক্সিমকোর অচল টেক্সটাইল ইউনিটগুলো পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় হঠাৎ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রবাসী পেশাজীবীদের সংগঠন ইকোমিলি। সরকারের সঙ্গে লিজ চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকোর স্থবির কারখানাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে তারা আলোচনায় ছিল।

বেঞ্চমার্ক পিআর–এর মাধ্যমে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এসব কারখানা পুনরায় চালু করতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেছে এবং সকলেই দ্রুত উৎপাদন শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের মতে, জাতীয় শিল্পসম্পদ নিলামে তোলার মতো সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক, স্থানীয় অংশীজন এবং শেয়ারহোল্ডারদের মতামত জরুরি। আকস্মিক নিলাম প্রক্রিয়া দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতৃত্বে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং বস্ত্র–পোশাক খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আগ্রহেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত