ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার চূড়ান্ত রায় আজ

২০২৫ নভেম্বর ২০ ০৮:২৭:৪৮

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার চূড়ান্ত রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সূচনা হতে যাচ্ছে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনের ওপর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার কথা রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আলোচিত-সমালোচিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরতে পারে কি না আজকের রায় সে প্রশ্নেরই নির্ধারক হয়ে থাকবে।

গত ১১ নভেম্বর এ বিষয়ে সব পক্ষের শুনানি শেষ হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণার দিন হিসেবে আজকের তারিখ নির্ধারণ করে। আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দুটি আপিল ও আবেদন।

রাষ্ট্রপক্ষের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা মনে করছেন, যদি চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর রাখার মতো কোনো নির্দেশ আসে, তাহলে আপিল গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সে রকম রায় হলে আসন্ন নির্বাচনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ খুলে যাবে।

উল্লেখ্য, ১৪ বছর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সংবিধানের মৌলিক রূপরেখার পরিপন্থী।

এই কারণে সংশোধনীটিকে বাতিলযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রয়োজনের বিবেচনায় দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনের সুযোগ রাখা হয়েছিল মূল পর্যবেক্ষণে।

রায় ঘোষণার সাত দিন পর, অর্থাৎ ১৭ মে, অবসরে যান বিচারপতি খায়রুল হক। প্রায় ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি। এরপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়, কারণ পূর্ণাঙ্গ রায় থেকে বাদ দেওয়া হয় ‘তবে প্রয়োজনের নিরিখে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে’ এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি। এই বাদ দেওয়া পর্যবেক্ষণকে কেন্দ্র করেই পরবর্তী সময়ে দলীয় সরকারের অধীনে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ক্ষমতায় টিকে থাকেন শেখ হাসিনা।

আজকের রায় সেই দীর্ঘ বিতর্কেরই নতুন অধ্যায় যুক্ত করতে পারে এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত