ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিটিভিতে প্রচারিত হবে শেখ হাসিনার মামলার ঐতিহাসিক রায়

২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১২:৩২:১১

বিটিভিতে প্রচারিত হবে শেখ হাসিনার মামলার ঐতিহাসিক রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক :চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

গত ১৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্য হলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বহুল আলোচিত এই মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেছেন। রাজসাক্ষী হিসেবে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ক্ষেত্রেও খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী।

মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশন পক্ষে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস.এইচ. তামিম। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বি.এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি ও আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, আর রাজসাক্ষী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতা সহ স্বজনহারা একাধিক পরিবার। স্টার উইটনেস হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। মোট ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালতে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়।

গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালেই সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হিসেবে যুক্ত হন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার এবং সরকারি প্রশাসনের অংশবিশেষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশ কর্তৃক গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন সময়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচার কার্যক্রম চলছে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত