ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২
প্লট হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনলো গৃহায়ন মন্ত্রণালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। দুর্নীতি রোধ, সেবা সহজীকরণ এবং নাগরিক ভোগান্তি কমাতে বিদ্যমান নিয়মে বড়সড় সংস্কার করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়। এখন থেকে নামজারি, দলিল সম্পাদন বা হস্তান্তর করতে আর লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগবে না।
রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গৃহায়ন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থাগুলোর উন্নয়নকৃত বা বরাদ্দকৃত আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাটে উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান বা হেবা সূত্রে নামজারি; দলিল সম্পাদন বা বাতিল; আম-মোক্তার দলিল বা ঋণ নেওয়ার অনুমতির ক্ষেত্রে আর কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
তবে, প্লট বিভাজন, একাধিক প্লট একত্র করে আয়তন পরিবর্তন বা ব্যবহার শ্রেণি পরিবর্তনের (যেমন মাস্টার প্ল্যান পরিবর্তন) ক্ষেত্রে আগের মতোই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, উন্নয়নকৃত ফ্ল্যাট বা ভবনসহ ভূমি হস্তান্তরের সময় দলিল মূল্যের ২% এবং শুধুমাত্র প্লট বা ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৩% অর্থ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। গৃহায়ন মন্ত্রণালয় বা গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে উন্নয়নকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই হারে অর্থ আদায় করা হবে, যা সরকারী নন-ট্যাক্স রেভিনিউ (এনটিআর) হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া, হস্তান্তরের পর ৯০ দিনের মধ্যে দলিলের সার্টিফাইড কপি ও নামজারি সম্পর্কিত রেকর্ড লিজদাতা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা জমা না দিলে দৈনিক ৫ টাকা হারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। লিজদাতা প্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের মধ্যে রেকর্ড হালনাগাদ করে মালিককে ডাক বা ই-মেইলের মাধ্যমে অবহিত করবে। দেরি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিজের মেয়াদ শেষ হলে (৯৯ বছর পর) তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং এ ক্ষেত্রে হস্তান্তর ফিও বাতিল হবে। তবে, লিজদাতার অনুমতি ছাড়া প্লটের বিভাজন, একত্রীকরণ বা ব্যবহার শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
আবাসিক নয়, এমন প্রাতিষ্ঠানিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্লটের ক্ষেত্রে আগের অনুমোদন প্রথা বহাল থাকবে। এছাড়া, যেসব প্লট বা ফ্ল্যাট নিয়ে মালিকানা বিরোধ রয়েছে, পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত, অথবা ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশেষ বরাদ্দ পেয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে এখনো লিজদাতার অনুমোদন নিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান বা হেবা সূত্রে নামজারি কিংবা দলিল সম্পাদন ও হস্তান্তরের জন্য যেসব আবাসিক প্লট বা ফ্ল্যাটে অনুমোদন প্রয়োজন হবে না, তার তালিকা খুব শিগগিরই তফসিল আকারে প্রকাশ করা হবে। প্রয়োজনে এ তালিকা সংশোধনের ক্ষমতাও কর্তৃপক্ষের থাকবে।
শেষাংশে বলা হয়েছে, আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর-পরবর্তী সেবা সহজীকরণের এই নতুন ব্যবস্থা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মতিক্রমে চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা নাগরিকদের সেবা গ্রহণকে করবে আরও সহজ ও স্বচ্ছ।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিএনপির মনোনয়নে শেয়ারবাজারে ঝড় তুলেছে তিন কোম্পানি