ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

দাস তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা : নাহিদ ইসলাম

২০২৫ নভেম্বর ০৭ ১৭:৫৩:৪৮

দাস তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে তার যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ছিল, বাস্তবে এসে তা ভেঙে গেছে। প্রথম বর্ষেই তার মনে হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু শেখা সম্ভব নয়। বরং এটি এখন দাস তৈরির এক কারখানায় পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম (ইউটিএফ)-এর আত্মপ্রকাশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য আত্মীয়স্বজনদের চাকরির সুযোগ করে দিতে নতুন নতুন বিভাগ খুলেছিলেন। গত ১৬ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। তবে দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আজ কিছুটা সম্ভাবনার জায়গায় পৌঁছানো গেছে। এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই অর্জন ধরে রাখা, যাতে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর দলীয়করণ না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যেখানে প্রশ্ন করার স্বাধীনতা নেই; বরং সবসময় অনুগত থাকতে হয়। একটি নির্দিষ্ট চিন্তা ও রাজনৈতিক মতাদর্শকেই মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি ও তার সহপাঠীরা নানা ধরনের অ্যাক্টিভিজম ও পাঠচক্রে যুক্ত থেকে বিকল্প চিন্তার চর্চা করেছেন। কারণ তাদের বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার চিন্তা ও দর্শন ধারণ করলে স্বাধীন ও মর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের কৌশল ছিল—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই আরেকটি অদৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা। যেখানে চিন্তা, বিশ্লেষণ ও সমালোচনার স্বাধীনতা থাকবে।” তিনি জানান, কখনো প্রকাশ্যে, কখনো গোপনে এই কাজের ধারা তারা চালিয়ে গেছেন, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন আলোচনার পরিবেশ ছিল না। ভবিষ্যতে যাতে খোলামেলা আলোচনা ও সমালোচনার সুযোগ তৈরি হয়—সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, “আমরা ভাঙার কাজটা করেছি, এখন গড়ার কাজটা বাকি। এই গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষক, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আন্দোলনের অংশ হয়ে থাকব, কিন্তু টেকসই পরিবর্তনের জন্য সমাজের সচেতন শ্রেণিকেই এগিয়ে আসতে হবে।”

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত