ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

জামায়াতসহ আট দলের পাঁচ দফা দাবি, ইসিতে স্মারকলিপি বৃহস্পতিবার

২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১৩:৫০:৩৬

জামায়াতসহ আট দলের পাঁচ দফা দাবি, ইসিতে স্মারকলিপি বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক :জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে আন্দোলন জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ মতাদর্শে কাছাকাছি আটটি রাজনৈতিক দল। এ লক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবে তারা। ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হবে বৃহত্তর কর্মসূচি।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান। তাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তাকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নির্দেশনা ও নভেম্বরে গণভোটের ঘোষণা দিতে হবে। কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য, আর আগামীর নির্বাচন সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের ইচ্ছায় গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও স্বৈরাচার প্রতিরোধে কাজ করছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৮৪টি প্রস্তাব গৃহীত করেছে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে।

তিনি জানান, সরকার তিনভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারে—সংবিধান সংশোধন ছাড়া অধ্যাদেশ জারি, সংবিধান সংশ্লিষ্ট ৪৮টি বিষয়ে আদেশ জারি এবং জনগণের মতামত নিতে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে। তাঁর মতে, গণভোট ছাড়া জুলাই সনদ আইনগত ভিত্তি পাবে না, তাই নভেম্বরের মধ্যেই এটি সম্পন্ন করতে হবে।

ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে ভোট আয়োজন জরুরি। এতে কালোটাকা, পেশিশক্তি ও ভোটকেন্দ্র দখলের রাজনীতি বন্ধ হবে। তিনি জানান, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এ ব্যবস্থার পক্ষে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আট দলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু, সব দলের জন্য সমতাভিত্তিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের সব গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান ও ডেভলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈমসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত