ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

সাংবাদিকতায় বেতন কম, নিরাপত্তা শূন্য, পাওনার লড়াই হতাশাজনক : উপ-প্রেস সচিব

২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১২:৫০:৪৯

সাংবাদিকতায় বেতন কম, নিরাপত্তা শূন্য, পাওনার লড়াই হতাশাজনক : উপ-প্রেস সচিব

মো: আবু তাহের নয়ন:প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি বা প্রতিষ্ঠানের লোকের কাছে আর্জি করেন, যা তাদের জন্যই বিব্রতকর। যাদের কলম ও কণ্ঠে প্রতিদিন মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের কথা উঠে আসে, তারাই যখন প্রাপ্য টাকা-পয়সার জন্য অসহায় হয়ে পড়েন, এটি সবার জন্যই হতাশাজনক।

আজাদ মজুমদার বলেন, সাংবাদিকতার অধিকাংশ কর্মীর বেতন অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক কম। তবে সবচেয়ে বড় অবিচার ঘটে তখন, যখন কেউ বহু বছরের পরিশ্রমের পর প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যায় এবং প্রাপ্য টাকা-পয়সা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকরা প্রায়ই খালি হাতে ফিরেন, আর পত্রিকার ওয়েজ বোর্ডের আওতায় থাকা সাংবাদিকদেরও প্রাপ্য পাওনা পেতে হয় কঠিন টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক সাংবাদিক বছরের পর বছর নিরলস পরিশ্রম করেন, ছুটি ত্যাগ করেন এবং প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেন। ১৬ বছর চাকরি করলেও যদি কেউ ছুটি না নেন, আইন অনুযায়ী তাকে মাত্র দুই মাসের অর্জিত ছুটির অর্থ দেওয়া হয়, অর্থাৎ বাকী সময় বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হয়।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, যখন এই দুই মাসের পাওনা চাওয়া হয়, তখন তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় যেন কোনো দয়া করা হচ্ছে। শ্রম আইনের আওতায় মামলা করার সুযোগ থাকলেও প্রায়ই মালিকদের পক্ষেই যায়। কারণ মামলা হলে রায় না হওয়া পর্যন্ত টাকা দিতে হয় না, এবং বাংলাদেশের দীর্ঘসূত্রতা সম্পন্ন আদালত ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে রায় দশ বছরেও আসে না।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর শক্তিশালী ভূমিকা থাকা উচিত, কিন্তু বাস্তবে তা অনেকটাই নিরুত্তর। ইউনিয়ন নেতারা আসলে কী করেন, সেটিও কেউ জানে না।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত