ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২
বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক :প্রায় ২০ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক। আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় নবম জেইসি বৈঠকে অংশ নিতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আহাদ খান চিমা আসবেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, ঘাটতি কমানো এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা সফরকালে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বৈঠকে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি, আর্থিক সেবা খাত ও ব্যাংকিং খাত সম্পর্কিত সহযোগিতা বিষয়েও আলাপ হতে পারে।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ২০০৫ সালের পর আর কোনও জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইতোমধ্যে দেশের চার জন মন্ত্রী ঢাকায় সফর করেছেন। তবে বিগত সরকারের সময় পাকিস্তানের কোনও মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফর করেননি। তাই এই বৈঠকটি সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ২৮ অক্টোবর ইসলামাবাদ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে দুই দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বিষয়ক আলোচনা হতে পারে। এর আগে পাকিস্তানের বিভিন্ন মন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
জেইসি বৈঠকে পাকিস্তানকে আরও বেশি করে শুল্কমুক্তভাবে চা, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও শিল্প কাঁচামাল আমদানির জন্য অনুরোধ করা হবে। এছাড়া নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমিশন প্রতিষ্ঠা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নতুন খাত সংযোজন, শুল্ক ও অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার এবং যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ও আলোচনা হবে। বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টিও বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে।
পাকিস্তান থেকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রফতানি হয়েছে মাত্র ৬৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। পাকিস্তান থেকে মূলত তৈরি পোশাকের কাপড়, সুতা ও সিমেন্ট আসে, আর বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় পাট ও অন্যান্য টেক্সটাইল ফাইবার এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্য বাড়ানোর প্রস্তাব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এসেছে যা বাংলাদেশের জন্যও লাভজনক। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের এবং বাংলাদেশের রফতানি কম হওয়ায় সম্পর্ক উন্নত করলে ব্যবসা ও পর্যটন সম্প্রসারণে সুবিধা হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন আমাদের লক্ষ্য। অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ রয়েছে এবং আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি।
ডুয়া/নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস