ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সীমান্তে দ্বিতীয়বার মাইন বিস্ফোরণ

২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২৩:১৮:৫৫

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সীমান্তে দ্বিতীয়বার মাইন বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির দায়িত্বাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের নিকুছড়ি বিওপির বিপি-৪২ সংলগ্ন এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের পরপরই বন্য হাতির তীব্র চিৎকার শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হাতির পায়ে লেগেই মাইনটি বিস্ফোরিত হয় এবং আহত প্রাণীটি মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। কলাচাষি আবদুল সালাম জানান, তিনি তখন সীমান্তঘেঁষা কলাবাগানে কাজ করছিলেন—ঠিক তখনই বিকট শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। পরে তিনি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত অংজু ক্যাম্পের দিক থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন।

সূত্র অনুযায়ী, মাইনটি বিস্ফোরিত হয় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দক্ষিণে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির দখলকৃত এলাকায়। দুর্গম ও জনশূন্য স্থানে ঘটনাটি ঘটায় এখনো সঠিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর মাত্র একদিন আগে, গতকাল রোববার, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি বিওপি এলাকায় টহলের সময় স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৩৪ বিজিবির নায়েক মো. আকতার গুরুতর আহত হন। তার ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায় এবং বাম পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারযোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পর সোমবার বিকেলে সেনাবাহিনীর ৩০ সদস্যের মাইন ডিসপোজাল টিম সীমান্তের বিপজ্জনক এলাকাটি পরিদর্শন করে। দলটি প্রস্তাবিত রেজু আমতলী বিজিবি ক্যাম্প এলাকা ঘুরে একটি পরিত্যক্ত হ্যান্ড গ্রেনেড ও মর্টার শেল পরীক্ষা করে। পরিদর্শন শেষে তারা বিকেলে রামু সেনানিবাসে ফিরে যায়।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত