ঢাকা, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২

সেফ এক্সিট নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৩:০৯:২৪

সেফ এক্সিট নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বর্তমান উপদেষ্টারা নিরাপদভাবে দেশ ত্যাগ করার, অর্থাৎ “সেফ এক্সিট” চান কি না। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার (১২ অক্টোবর) বলেন, “আমার ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে আছে। আমি একা সেফ এক্সিট নিয়ে কি করব?” তিনি বলেন, এটি মূলত ব্যক্তিগত ইচ্ছার বিষয়, যা প্রত্যেকের নিজস্ব বিবেচনার ওপর নির্ভর করে।

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও জানান, নির্বাচনের সময় কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া রোধ করতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সব অস্ত্র সর্বদা উদ্ধার করা সম্ভব নয়, কিছু অস্ত্র বাইরে থাকে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজন। “যদি সব অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যেত, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন হতো না, নির্বাচন স্বাভাবিকভাবেই হয়ে যেত। আল্লাহ চাইলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হবে,” বলেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে সকল প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তা যেন কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব না দেখান, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণসহ পুলিশ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উল্লেখ করেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিদের এবার যথাসম্ভব নিয়োগ থেকে বিরত রাখা হবে। এছাড়া টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২৮টি ব্যাচে তিনদিন মেয়াদি এই প্রশিক্ষণ সারা দেশে ১৩০টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে একটি ব্যাচের (৬,৫০০ জন) প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ চলমান। চূড়ান্ত (৪র্থ পর্যায়ের) প্রশিক্ষণ ৫ অক্টোবর শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হবে।

অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের সেনাবাহিনীর হেফাজতে রেখেই বিচারকার্য করার কথা উঠছে৷ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনে যেটা আছে সেটাই করা হবে।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত