ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২

সিটি ক্রেডিট ব্যুরোতে বিনিয়োগ করবে আইটি কনসালট্যান্টস

হাসান মাহমুদ ফারাবী
হাসান মাহমুদ ফারাবী

রিপোর্টার

২০২৫ অক্টোবর ১০ ০৭:৪৮:২৮

সিটি ক্রেডিট ব্যুরোতে বিনিয়োগ করবে আইটি কনসালট্যান্টস

হাসান মাহমুদ ফারাবী: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি কনসালট্যান্টস পিএলসি দেশের উদীয়মান বেসরকারি ক্রেডিট রিপোর্টিং খাতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর প্রস্তাবিত সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটি ক্রেডিট ব্যুরো পিএলসি-তে তারা ইক্যুইটি অংশীদার হিসেবে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

কোম্পানিটি এক ডিসক্লোজারে জানিয়েছে, তারা সিটি ক্রেডিট ব্যুরোর পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত বিনিয়োগ করবে। এই বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য আইটি কনসালট্যান্টস-এর পক্ষ থেকে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও কাজী সাইফুদ্দীন মুনিরকে মনোনীত ও অনুমোদিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে ক্রেডিট ব্যুরো প্রতিষ্ঠার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের পর সিটি ব্যাংক সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই ব্যুরো প্রতিষ্ঠার জন্য লেটার অফ ইন্টেন্ট (এলওআই) লাভ করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ বাড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রেডিট তথ্য ইকোসিস্টেমে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিটি ক্রেডিট ব্যুরো গঠনের অনুমোদন দেয়। সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন এবং আর্থিক প্রভাবের বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও, এই উদ্যোগটিকে ব্যাংকটির কার্যক্রমকে বহুমুখী করার এবং এর আর্থিক পরিষেবা পোর্টফোলিও শক্তিশালী করার বৃহত্তর কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে, বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেশের প্রথম ক্রেডিট রিপোর্টিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠার জন্য এলওআই প্রদান করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: সিটি ক্রেডিট (সিটি ব্যাংক স্পন্সরড), ইউকে-সমর্থিত ক্রেডিটইনফোবিডি, ইউএস-সমর্থিত ট্রান্সইউনিয়ন, ইউএস-সৌদি যৌথ উদ্যোগ ফার্স্ট ন্যাশনাল ক্রেডিট, এবং বিকাশ ক্রেডিট (বিকাশ স্পন্সরড)।

নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের অবকাঠামো তৈরি এবং চূড়ান্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার জন্য এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। একবার চালু হলে, এই বেসরকারি ক্রেডিট ব্যুরোগুলি ব্যক্তি ও ব্যবসার জন্য বিস্তারিত ক্রেডিট রিপোর্ট এবং স্কোর তৈরি করতে ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদানকারীদের থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)-এর ওপর নির্ভরশীল, যা কেবল বিদ্যমান ঋণগ্রহীতাদের ট্র্যাক করে। বিপরীতে নতুন বেসরকারি ব্যুরোগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও ব্যাপক ক্রেডিট প্রোফাইল তৈরি করবে।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত