ঢাকা, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সুসংবাদ দিল এডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামান্য উজ্জীবন দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ (এডিও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।
এডিবির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমবিরোধ, বারবার বন্যা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেশের চাহিদাকে দুর্বল করেছে। এছাড়া সরবরাহ শৃঙ্খলের বিঘ্ন এবং টাকার অবমূল্যায়ন মুদ্রাস্ফীতিকে দুই অঙ্কে পৌঁছে দিয়েছে।
তবে রপ্তানি খাতের পুনরুদ্ধার এবং আমদানি খরচের তুলনামূলক কম হওয়ায় চলতি হিসাব বছরের জন্য সামান্য উদ্বৃত্ত তৈরি হয়েছে। ২০২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। তবে এপ্রিলে প্রকাশিত পূর্বাভাসের তুলনায় এটি কিছুটা কম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি, কঠোর আর্থিক ও রাজস্ব নীতি এবং মুদ্রানীতি বিনিয়োগে চাপ তৈরি করতে পারে।
এডিবি জানিয়েছে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার উপর। কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, “মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়, তবে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়ে গেছে। এগুলো সমাধান না হলে উচ্চতর অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা অর্জন কঠিন হবে।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, অপর্যাপ্ত বাজার তথ্য, সরবরাহ শৃঙ্খলের সীমাবদ্ধতা এবং টাকার দুর্বলতার কারণে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯.৭৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে ১০ শতাংশে পৌঁছতে পারে। তবে চলতি হিসাবের সামান্য উদ্বৃত্ত ০.০৩ শতাংশের আশেপাশে থাকবে, যা ২০২৪ সালে ১.৫ শতাংশ ঘাটতির তুলনায় বাণিজ্য ব্যবধান সংকুচিত এবং শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্বারা সমর্থিত।
২০২৬ সালে ভোগ বৃদ্ধি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। তবে সংকোচনশীল আর্থিক ও রাজস্ব নীতি, বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা ধীর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা, বিনিয়োগ আকর্ষণ, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নয় কোম্পানির শেয়ারে মুভিং এভারেজ,ম্যাকডি, এঙ্গালফিং বাই সিগনাল
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- এডিবি’র ৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ, এনভয় টেক্সটাইলের অগ্রযাত্রা
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা