ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২
চাকরি হারানোর ভয়ে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের প্রভাবমুক্ত হওয়ার পর নতুন করে বড় সংকটে পড়েছে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার আড়ালে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ কারণে চাকরি হারানোর আতঙ্কে আছেন ব্যাংকের বিভিন্ন গ্রেডের কর্মীরা।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সিনিয়র অফিসার, অফিসার, অফিসার (ক্যাশ), জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ) পদে কর্মরত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জনকে একটি বাধ্যতামূলক বিশেষ সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে।
মনোনীত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এসব পদে মোট প্রায় আট হাজার কর্মী থাকলেও কেবল ২০১৭ সালের পর নিয়োগপ্রাপ্তদেরকেই পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। তারা মনে করছেন, এটি বৈষম্যমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন জামায়াত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগিতায় এটি নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংকের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে এবং চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকার বহু লোককে নিয়োগ দেয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংককে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে। এর পরপরই ব্যাংকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কেউ কেউ পদোন্নতি পেলেও অনেক যোগ্য কর্মচারী বঞ্চিত হন। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কারণ ছাড়াই একাধিক পিয়নকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার সক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্যোগকে অনেকে ছাঁটাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখছেন। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এতে অনুপস্থিতদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে এটি চাকরিতে টিকে থাকা ও পদোন্নতির শর্তে পরিণত হয়েছে।
এর আগে ২৯ আগস্ট বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা আয়োজনের ঘোষণা দিলে কর্মকর্তারা হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত ২৬ আগস্ট সেই পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দেন। তবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবারও পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তাদের পক্ষে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, ইসলামী ব্যাংকের কর্মীরা নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে এই পরীক্ষার উদ্যোগ বাংলাদেশের সংবিধান, শ্রম আইন, সার্ভিস রুলস ও ব্যাংকিং আইন-বিধির পরিপন্থী। এটি সমান সুযোগ ও কর্মসংস্থানের নীতি ভঙ্গ করছে। তিনি দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়মিত প্রমোশন পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানান।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এশিয়া কাপ: পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- উৎপাদন বন্ধ ৩০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএসই
- তালিকাচ্যুত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বলির পাঠা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা!
- শেয়ারবাজারের ১২ কোম্পানির ২ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
- সিটি ব্যাংক পোর্টফোলিও ম্যানেজারের শেয়ার জালিয়াতি, তদন্তে বিএসইসি
- যেভাবে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে
- এনবিআর-এর ক্যাশ গেইন প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ৬ কোম্পানিতে
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ২৪ সেপ্টেম্বর ডুয়া’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, থাকবে নানা আয়োজন
- বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে টিভি স্ক্রলে বিশেষ বার্তা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানাল তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নতুন আবেদন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু সিরামিক
- ঝড়ের গতিতে উত্থান, রকেটের গতিতে পতনের শেয়ার