ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

বাংলাদেশি পাসপোর্ট-আইডি নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১২:১৫:৫০

বাংলাদেশি পাসপোর্ট-আইডি নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও যুক্তরাজ্যের সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে "ভুয়া" পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) টেলিগ্রাফ–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নথিপত্রে দেখা গেছে টিউলিপ সিদ্দিক নাকি ২০০১ সালে (১৯ বছর বয়সে) একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েছিলেন এবং ২০১১ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন। এমনকি একই বছরে ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেছিলেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।

তবে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বলছেন, এগুলো সবই মিথ্যা ও জাল নথি। তাদের দাবি, প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে হয়রানি করছে এবং এখন তাঁকে কলঙ্কিত করার জন্য জাল কাগজপত্র তৈরি করেছে।

নথিতে যে ঢাকার একটি ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি নাকি টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি। কিন্তু টিউলিপের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি কখনো ঢাকায় থাকেননি। আরও বলা হয়, কথিত পরিচয়পত্রটি নতুন “স্মার্ট কার্ড” নয়, যা সহজেই যাচাই করা সম্ভব হতো। তাই নথির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।

এদিকে টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বাংলাদেশে অনুপস্থিত অবস্থায় একটি দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি খালার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। তবে তিনি এসব অভিযোগকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” ও “ভুয়া মামলা” বলে দাবি করেছেন।

এর আগে তিনি বারবার বলেছেন, শৈশবের পর আর কখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট রাখেননি এবং কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রও নেননি। যদিও ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে তিনি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে “আমাদের দেশ” বলে সম্বোধন করেছিলেন। আবার ২০১৭ সালে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, “আমি ব্রিটিশ, বাংলাদেশি নই।”

টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ জাল নথি বানিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত