ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

দীর্ঘ ছয় বছর পর বদলাতে পারে ডাকসুর ফলাফল

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৪:০০:২৪

দীর্ঘ ছয় বছর পর বদলাতে পারে ডাকসুর ফলাফল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। ভর্তি বৈধ না থাকায় তার ছাত্রত্বও অকার্যকর হয়ে পড়ে, আর সেই সূত্রে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে তার প্রার্থিতা অবৈধ ছিল বলে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি। ফলে ছয় বছর আগে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর জিএস পদও অবৈধ ঘোষণা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

রাশেদ খানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি এ সুপারিশ করেছে। যদি সিন্ডিকেট আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়, তবে রাব্বানীর পরিবর্তে জিএস পদে রাশেদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হতে পারে।

গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিলের খবরকে ‘ন্যায়বিচারের প্রতিফল’ হিসেবে দেখছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, “গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের ভোটে জিএস নির্বাচিত হয়নি। সেই নির্বাচন ছিল জালিয়াতিপূর্ণ। দীর্ঘ সময় পর হলেও আমি ন্যায়বিচার পেতে যাচ্ছি, এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ।”

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, ভোটারদের বাধা দেওয়া, কৃত্রিম লাইন তৈরি ও জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারার মতো নানা অনিয়ম ঘটেছিল। তবে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর। তিনি ১১ হাজার ৬২ ভোট পান। নুরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, যিনি পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট। আর জিএস পদে ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী ঘোষিত হন গোলাম রাব্বানী। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রাশেদ খান, তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬ হাজার ৬৩।

এখন সিন্ডিকেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন রাশেদ খান। তার আশাবাদ—ছয় বছর পর হলেও এবার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

অবশেষে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। এই সিদ্ধান্তে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং ভবিষ্যতে সকল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণের বার্তা প্রেরণ করবে।

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত