ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
পরিবেশ অধিদপ্তর
ঢাকার নাগরিকদের মাস্ক পরে বের হওয়ার পরামর্শ
.jpg)
ডুয়া নিউজ: প্রতিবছর শীত এলেই রাজধানীতে ঢাকায় বায়ু দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। শীতের কুয়াশার মধ্যে রাজধানী ঢাকা এখন ভারি ধূলিকণায় ছেয়ে গেছে, যার ফলে বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্বের ১২৪টি নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাতাসের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার নাগরিকদের মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকা এবং এর আশপাশের জেলা শহরগুলিতে বায়ুর গুণগতমান মাঝে মাঝে অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধান করতে এবং সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ২৫২ ছিল, যা 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়। দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ৯৮, রাজশাহীতে ১৮৪, এবং খুলনায় ১৭৫ ছিল। ঢাকার সবচেয়ে দূষিত এলাকা হিসেবে মার্কিন দূতাবাস (৫৯৯), গোড়ান (৪৯৫), এবং কল্যাণপুর (৩০৮) চিহ্নিত হয়েছে। আজ, বায়ুদূষণে ২৫৫ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫), যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৩৫ গুণ বেশি। এ ধরনের বায়ু পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ার পরামর্শ দিয়েছে, ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে এবং খোলা স্থানে ব্যায়াম না করার জন্য। এছাড়া, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা উচিত।
একিউআই স্কোর ০ থেকে ৫০ হলে বাতাস ভালো হিসেবে ধরা হয়, ৫১ থেকে ১০০ হলে মডারেট, ১০১ থেকে ১৫০ হলে স্পর্শকাতর শ্রেণির (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, এবং ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একিউআই ৩০১ পেরিয়ে গেলে তা বিপদজনক বলে ধরা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) জিয়াউল হক বলেছেন, শীতকালে ঢাকার বায়ু মান ২০০-এর মধ্যে রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। অতীতে শীতকালে বায়ুর একিউআই স্কোর ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত পৌঁছাত, যা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠত। তিনি বলেন, বায়ু মান নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিবহন, শিল্প, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে, যার মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলার জন্য ৮টি সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে। পরিবেশ অধিদপ্তর নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, গত ডিসেম্বর মাসে ঢাকার বায়ু দূষণ ছিল গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর