ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
রাকসু নির্বাচন: ইশতেহার, প্রার্থী ও নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ক্যাম্পাস
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ইশতেহার ঘোষণা এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা পুরোদমে চলছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল তাদের ১২ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। ইশতেহারের মূল বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইম্প্যাক্ট’ দপ্তর গঠন, ফি পরিশোধে ওয়ান-স্টপ সলিউশন, শক্তিশালী অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক এবং উপাচার্য নির্বাচন চালুর দাবি। রাকসুতে প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তাদের সময় মাত্র এক বছর, তাই এই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলোই ইশতেহারে রাখা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতি আশ্বস্ত করছেন।
নির্বাচন কমিশন রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এবার সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৩ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জনসহ মোট ২৮টি পদের বিপরীতে ৩০৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ২৮ হাজার ৯০৫ জন ভোটারের জন্য ৯টি অ্যাকাডেমিক ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে মোট ৯৯০টি বুথ স্থাপন করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এবং ভোট গণনা কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, দুই হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনের আগের দিন থেকে কেন্দ্রভিত্তিক একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। গোয়েন্দা দল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হবে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে যুক্ত থাকবে।
গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন, যা চলবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রচারণায় সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহার করা যাবে এবং এর আকার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভবনের দেওয়ালে লেখা বা পোস্টার লাগানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মাইক ব্যবহার শুধুমাত্র প্রার্থী পরিচিতি সভায় অনুমোদিত। এছাড়া, প্রার্থী বা ভোটার ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না এবং বহিরাগত কাউকে আবাসিক হলে থাকতে দেওয়া যাবে না। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানো, বলপ্রয়োগ বা ভোটদানে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এডিএন টেলিকমের নতুন পদক্ষেপ