ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
সাগরে আরাকান আর্মির হাতে আরও ১৫ বাংলাদেশি জেলে আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া দুটি নৌযানসহ ১৫ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধাওয়া করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সাগরের ‘সীতা’ নামক এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে জেলেদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বুধবার রাত ৯টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "সাগরে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশি জেলেদের ধাওয়া করে আরাকান আর্মি। এ সময় কায়ুকখালী ঘাটের ইউনুস এবং দেলোয়ারের মালিকানাধীন দুটি ট্রলারসহ ১৫ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় তারা। এ ছাড়া ঘাটের অনেক জেলে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে বের হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকের ট্রলারের জেলেদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি।"
এদিকে, মিয়ানমারভিত্তিক গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক (জিএএন) নামের একটি ওয়েবসাইটে পাঁচটি ট্রলারসহ ৪০ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটকের খবর প্রচার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জিএএনের ওয়েবসাইটে জানানো হয় যে, তিন দফায় পাঁচটি ট্রলারে ৪০ জন জেলে তাদের জলসীমানায় অনুপ্রবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম বলেন, "সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলারসহ ১৫ জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলে ও ট্রলার মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। তবে কয়টি ট্রলারে ঠিক কতজন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আপাতত ১৫ জন শুনছি।"
কায়ুকখালী ঘাট ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়টি ট্রলারসহ ৬৪ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এর মধ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর তিনটি নৌযানসহ ১৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ট্রলার মালিক সমিতির নেতারা জেলেদের নিরাপদে ফেরাতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
ট্রলার মালিক সমিতি ও বিজিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩১৮ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বিজিবির সহায়তায় প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হলেও বাকি জেলেরা এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছেন।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, "বিষয়টি জেলেদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শুনেছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।"
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান