ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
কিছু দেশের জন্য শুল্ক কমানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক অংশীদারদের জন্য শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এই আদেশের ফলে, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিল্পপণ্য, যেমন—নিকেল, স্বর্ণ, অন্যান্য ধাতু, সেইসাথে ঔষধ ও রাসায়নিক যৌগের মতো পণ্যের বিষয়ে চুক্তি করবে, তারা শীঘ্রই শুল্ক অব্যাহতি পাবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম সাত মাস ট্রাম্প বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানোর জন্য ব্যাপক শুল্ক বৃদ্ধি করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে ছাড় আদায় করা।
শুক্রবার স্বাক্ষরিত এই নতুন আদেশে ৪৫টিরও বেশি পণ্যের ক্যাটাগরিতে শূন্য আমদানি শুল্কের কথা বলা হয়েছে। এই ছাড় সেসব “সারিবদ্ধ অংশীদারদের” জন্য প্রযোজ্য হবে যারা ট্রাম্পের আরোপিত 'পারস্পরিক' শুল্ক এবং ধারা ২৩২-এর অধীনে আরোপিত কর কমাতে একটি কাঠামো চুক্তি সম্পন্ন করবে।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, এই আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্র তার বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি, যেমন—জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মিত্রদের সঙ্গে করা চুক্তিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারবে।
আদেশে বলা হয়েছে, এই শুল্ক ছাড় সোমবার থেকে কার্যকর হবে। ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন যে শুল্ক কমানোর তার এই ইচ্ছা নির্ভর করছে একটি বাণিজ্য অংশীদারের পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতির পরিধি এবং অর্থনৈতিক মূল্যের উপর।
যেসব পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে তার মধ্যে রয়েছে গ্রাফাইট এবং বিভিন্ন ধরনের নিকেল, যা স্টেইনলেস স্টিল ও ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরির একটি প্রধান উপাদান। এছাড়াও, এনেস্থেটিক লিডোকেন এবং চিকিৎসা ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় ব্যবহৃত যৌগসহ জেনেরিক ঔষধের কিছু উপাদানও এই ছাড়ের আওতায় আসবে।
বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণ আমদানিতেও এই শুল্ক ছাড় প্রযোজ্য হবে, যার মধ্যে রয়েছে গুঁড়া এবং বার। সুইজারল্যান্ড, যারা এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি করতে পারেনি, তারা ৩৯% শুল্কের কারণে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এই আদেশের ফলে প্রাকৃতিক গ্রাফাইট, নিওডিমিয়াম ম্যাগনেট এবং এলইডি'র উপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হবে। তবে কিছু নির্দিষ্ট প্লাস্টিক এবং পলিসিলিকন, যা সোলার প্যানেলের প্রধান উপাদান, সেগুলোর উপর থেকে আগের শুল্ক ছাড় তুলে নেওয়া হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'পারস্পরিক' বাণিজ্য চুক্তি করেছে, তাদের জন্য এই আদেশটি শুল্ক ছাড় দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। নতুন কোনো নির্বাহী আদেশের প্রয়োজন ছাড়াই বাণিজ্য প্রতিনিধি, বাণিজ্য বিভাগ এবং কাস্টমস এখন থেকে সহজেই আমদানি পণ্যের শুল্ক মওকুফ করতে পারবে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প