ঢাকা, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২

নৃত্য শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান গোলাম পরওয়ারের

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ২২:৪৭:০৫

নৃত্য শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান গোলাম পরওয়ারের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নতুন প্রজন্মকে সৎ ও নৈতিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনও বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। এর ফলে সমৃদ্ধ সিলেবাস থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবক্ষয় সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের হ্রাস, অসহিষ্ণুতা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি করছে। অধ্যাপক পরওয়ারের মতে, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও সৎ আচরণের ভিত্তি তৈরি করে, যা ন্যায়পরায়ণ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য।

তিনি বলেন, সংগীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। কোনো পরিবারের যদি গান বা নৃত্যের প্রতি আগ্রহ থাকে, তারা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক রেখে বিষয়টি শিখতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা সব ধর্মের শিশুর জন্যই অত্যাবশ্যক। তাই সরকার ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক পরওয়ার আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সময়ে যখন জাতির নতুন প্রজন্মে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, সেই মুহূর্তে সরকার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সংগীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, এটি জাতির জন্য ক্ষতিকর এবং প্রয়োজন হলো শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হলেও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং সংগীত ও নৃত্য শিক্ষকের নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ায় এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, দেশের সকল ধর্মাবলম্বী শিশুর জন্য সমানভাবে প্রয়োজনীয়। সরকারের এই নিয়োগ পরিকল্পনায় ধর্মীয় শিক্ষাকে উপেক্ষা করে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে ভবিষ্যতে নৈতিক অবক্ষয় ও চরিত্রহীন প্রজন্ম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত