ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২
ভারত-চীন টপকে ২০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের সুযোগ
ভারত ও চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত রপ্তানি আয় করতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সামষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এই তথ্য জানান। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
জাহিদ হোসেন তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার ৫০ শতাংশ এবং চীনের ওপর ৩০ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশের ওপর এই হার ২০ শতাংশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ২২ শতাংশ ভারতে চলে যেতে পারে। তবে শুল্কহারের এই পরিবর্তনের ফলে দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। ভারত সরকারের হিসাব অনুযায়ী, নতুন শুল্কহারের কারণে দেশটির প্রায় ৪ হাজার ৮২০ কোটি ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, অস্থিতিশীলতার পেছনে যারা ছিলেন, তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এর ফলে দেশ থেকে অর্থ পাচার কমেছে এবং ব্যাংক খাতে দুর্বৃত্তায়নও বন্ধ হয়েছে। জাহিদ হোসেন মনে করেন, এটি নীতি পরিবর্তনের কোনো কৃতিত্ব নয়, বরং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে এবং নীতিতে শৃঙ্খলা ফিরেছে। তবে তিনি এও সতর্ক করেন যে, সরকারের সব সিদ্ধান্তই যে সঠিক, তা নয়।
এই অর্থনীতিবিদ আরও জানান, গত এক বছরে হুন্ডি কমেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে। ব্যাংকের লুটপাট বন্ধ হলেও খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থার উন্নতি হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, সেগুলো বাংলাদেশের অনুকূলে এসেছে।
জাহিদ হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে আটকে পড়ার পেছনে কিছু কারণ তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংক খাত, পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং শ্রমবাজারের উন্নয়নে ঘাটতি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু ফেব্রিক্স
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১৯ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া:কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি ফ্রিতে দেখুন(LIVE)
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে জেএমআই হসপিটাল
- নেগেটিভ ইকুইটি মুক্ত করতে মার্জিন ঋণে তালা মারছে বিএসইসি