ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে হতে পারে বৈঠক

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জটিল হলেও দুই দেশ এক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার এই মন্তব্য বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই-ও জানিয়েছে যে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জরিমানা হিসেবে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। এই শুল্কের কারণে ভারতের গয়না, রত্ন, সি-ফুড, পোশাক, চামড়ার মতো একাধিক বাণিজ্যিক খাতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারত এর সমাধান এবং বিকল্প পথ খুঁজতে বদ্ধপরিকর।
স্কট বেসেন্ট ফক্স নিউজকে বলেছেন যে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তম অর্থনীতি, তাই "দিনের শেষে আমরা এক হব"। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ভারতই প্রথমে বাণিজ্য চুক্তি পাকা করার বিষয়ে আগ্রহী ছিল, কিন্তু মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য নিজেদের বাজার উন্মুক্ত করতে তারা অনীহা প্রকাশ করেছে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনাও আলোচনার গতি কমিয়ে দিয়েছে। বেসেন্ট বলেন, "এটা একটা অত্যন্ত জটিল সম্পর্ক... তবে লেবার ডের পরপরই ভারত শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করে, কিন্তু এখনো কোনো চুক্তি হয়নি।"
এদিকে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের অনড় অবস্থান বজায় রেখেছেন। মোদি বলেছেন, কৃষক ও ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থের বিরুদ্ধে ভারত কোনো আপোষ করবে না, এমনকি চাপ বাড়লেও তা সহ্য করবে।
যদিও গত ২৫ আগস্ট ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার কথা থাকলেও তা হয়নি, তবে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা বস্ত্র রপ্তানিতে উৎসাহ দিতে ৪০টি দেশের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে এবং দেশজ বাজার সম্প্রসারণের ওপর জোর দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে নতুন মার্কিন শুল্ক ভারতের ৬৬ শতাংশ রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে পোশাক, গহনা, চিংড়ির চাষ এবং চামড়া শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেক কর্মী জীবিকা নিয়ে চিন্তিত। মার্কিন শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো সুবিধা পাবে।
তবে ভারতের কর্মকর্তারা এবং বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান, গীতাঞ্জলি সিনহা রায় ও এম দাশগুপ্তের মতে, দুই দেশের মধ্যে সংলাপের পথ এখনো খোলা আছে এবং কূটনৈতিক স্তরে চেষ্টা চলছে। ভারত উৎপাদন শিল্পের উপর আরও জোর দিয়ে এবং বিকল্প বাজার তৈরি করে দীর্ঘমেয়াদে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে বলে তারা মনে করেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ