ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলাদেশ কারা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন
.jpg)
বাংলাদেশে কারা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও মানবিক করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ জেল’ নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ নামকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানান, বন্দিদের শাস্তির বদলে সংশোধনের দিকটি গুরুত্ব দিয়ে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি রয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় দুটি কেন্দ্রীয় এবং চারটি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে ঢাকা বিভাগকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
লোকবল সংকট কাটাতে সরকার ১৮৯৯ নতুন জনবল নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে এবং আরও ১৫০০ জনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। কারা সদরদপ্তর ও বিভাগীয় দপ্তরগুলো ঢেলে সাজিয়ে নতুন নিয়োগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সব কারাগারকে ফাইবার নেটওয়ার্কে যুক্ত করে প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন আনা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল এটেনডেন্স ও টিম ট্রেকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোবাইল জ্যামিং সিস্টেম, বডি স্ক্যানার, লাগেজ স্ক্যানার, মোবাইল ডিটেক্টর, এআই সিসিটিভি এবং বডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনাও রয়েছে।
বন্দিদের টেলিফোন কল ও সাক্ষাৎ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা হয়েছে এবং হটলাইন সেবা চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান সহজ হচ্ছে। খাদ্য ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন এসেছে—প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিশেষ দিনে খাবারের মানোন্নয়ন হয়েছে।
বন্দিদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষা ও মানসিক কাউন্সেলিং চালু রাখা হয়েছে সংশোধনের লক্ষ্যে।
কারা কর্মকর্তাদের শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে বাধ্যতামূলক পিটি এবং ওয়েট চার্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্তদের জন্য আজীবন রেশন প্রদানের বিষয়টি নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
গত এক বছরে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন প্রায় এক হাজার কারারক্ষী ও কর্মকর্তারা। মাদকবিরোধী কঠোর নীতির আওতায় মাদকে জড়িত ২৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কারা সদর দপ্তর নিজস্ব ড্রাগ টেস্টিং মেশিন সংগ্রহ করেছে।
গত এক বছরে অনিয়মে জড়িতদের মধ্যে ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত, ১৭২ জনকে বদলি ও ৪৪০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগগুলো কারাগার ব্যবস্থাকে একটি সংশোধনকেন্দ্রিক, নিরাপদ ও মানবিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ