ঢাকা, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মার্কিন আরোপিত শুল্ক হ্রাস নিয়ে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক আরও কমানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগী অনেক দেশের পাল্টা শুল্কহার এখনো নির্ধারিত হয়নি। ভবিষ্যতে এসব হার নির্ধারণ হলে বিশেষত পোশাক খাতে তা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকবে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার সাফল্যে সরকারের প্রতিনিধিদলকে সম্মান জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিটিএমএ।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘সুতরাং এখানে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। তৃতীয় একটি বিষয় আছে যেটা আমি প্রকাশ্যে বলছি না। এটা সম্ভবত একটি সুসংবাদ এবং এর ফলে আমাদের ওপর আরেক দফা ট্যারিফ কমে যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য নেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। এছাড়া বক্তব্য নেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে কোনো চুক্তি হয়নি। আমরা কোনো ভূ-রাজনৈতিক ফাঁদে পা দিইনি। আমরা তিনটি মূলনীতির ওপরে ভিত্তি করে দর কষাকষি করেছি। প্রথম বিষয় হচ্ছে- যে আমরা নির্বাচিত সরকার নই। ফলে আমরা পরবর্তী সরকারের ওপরে কোনো দায়/বাধ্যবাধকতা (অবলিগেশন) রেখে যেতে পারি না। সুতরাং পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকতে হবে; তারা এটার পরিবর্তন, পরিমার্জন কিংবা বাতিল করতে পারবে। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি এমন একটা চুক্তি নিয়ে, যেটা বাতিলযোগ্য।
তিনি বলেন, তারা ফেব্রুয়ারি থেকেই কাজ শুরু করেছেন, যখন অন্য দেশগুলো এখনো প্রস্তুতি নেয়নি। ফলে বাংলাদেশ কিছুটা বেশি সময় পেয়েছে। এটা যদি কেবল ট্যারিফ রেট অ্যাডজাস্টমেন্ট হতো, আমরা দুই বেলায় করে ফেলতাম। কিন্তু এটি শুধু ট্যারিফ নয়, বরং নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার, জাতীয় নীতি এবং নিরাপত্তা প্রশ্ন জড়িত একটি জটিল প্রক্রিয়া।
রহমান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে আইনের বলে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেছিলেন, সেটি ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ইমারজেন্সি পাওয়ার্স অ্যাক্টের (আইইইপিএ)’ আওতায় তিনটি শর্ত ছিল- যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত জরুরি অবস্থা দেখা দেয় তবে প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন।
তবে এ ক্ষমতার প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক রয়েছে এবং রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের এ সিদ্ধান্ত কোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়েছে। তিনি জানান, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের দুটি আদালতে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিলের ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন (Live)
- আজ বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিল ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিলের ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় T-20: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন এখানে
- আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মুখোমুখি বাংলাদেশ, জেনে নিন সময়সূচি
- শীতকালীন ছুটি বহাল থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিল ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের ফাইনাল টি-২০ ম্যাচ: সরাসরি দেখুন এখানে(LIVE)
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় T-20-সরাসরি দেখার উপায়
- বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিল ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ, কে এগিয়ে?
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: ৩য় টি-২০ ম্যাচটি শেষ, জানুন ফলাফল
- ঢাকায় ল্যাটিন-বাংলা সুপার কাপ, বাংলাদেশ-ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ কবে
- ঢাকা বোর্ডে এইচএসসির বৃত্তির তালিকা প্রকাশ, দেখুন তালিকা
- ঢাকায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ, টিকিটসহ জেনে নিন বিস্তারিত