ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আরও একবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলো বাংলাদেশের যুবারা। মাসখানেক আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রোটিয়াদের হারানোর পর এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও তাদের দম্ভ চূর্ণ করলো আজিজুল হাকিম তামিমের দল। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে রিজান হোসেনের অনবদ্য ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে স্বাগতিকদের ৩৩ রানে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছে জুনিয়র টাইগাররা।
রোববার (১০ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ মিলে দলকে একটি সতর্ক কিন্তু দৃঢ় সূচনা এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৪১ রান। কিন্তু রিফাত ২২ বলে ১৬ রান করে ফিরতেই যেন ছন্দপতন ঘটে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার জাওয়াদও (২১)।
এরপর তিনে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও দলের বিপর্যয় রোধ করতে পারেননি। ২৮ বল খেলে মাত্র ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ফলে মাত্র ২৪ রানের ব্যবধানে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল, বড় সংগ্রহের স্বপ্ন হয়তো শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু এরপরই দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকির। দলের চরম দুর্দিনে এই দুই ব্যাটার মিলে গড়ে তোলেন এক অনবদ্য প্রতিরোধ। প্রোটিয়া বোলারদের হতাশ করে চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন মহামূল্যবান ১১৭ রান। এই জুটিই মূলত বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। কালাম সিদ্দিকি ৮৪ বলে ৬৫ রানের একটি দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে আউট হন।
অন্যপ্রান্তে তখন রীতিমতো রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন রিজান হোসেন। শতকের সুবাস পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিধাতা হয়তো চাননি। ব্যক্তিগত ৯৫ রানে দাঁড়িয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হন তিনি। ১০৩ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারলেও মাত্র ৫ রানের জন্য শতক না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রানের একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
২৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা যেন ঠিক উল্টো চিত্রনাট্য লেখে। দুই ওপেনার আদনান লেগেদিন ও জুরিখ ফন শালভিক শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৬.৫ ওভারেই আসে ৫৯ রান। আদনান ৩১ বলে ৪০ রানের এক টর্নেডো ইনিংস খেলেন।মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি হয়তো প্রোটিয়াদের দিকেই ঝুঁকে পড়ছে। কিন্তু ঠিক তখনই আঘাত হানে বাংলাদেশ। আদনানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙার ৯ বল পরই আরেক ওপেনার জুরিখকেও (১৯) সাজঘরের পথ দেখান টাইগার বোলাররা।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রোটিয়াদের রানের চাকায় পুরোপুরি লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ বুলবুলিয়া (৩১) এবং জেসন রোয়েলস (৩৫) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের সামনে তারা ইনিংস বড় করতে পারেননি। এরপর আর কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। ফলে ৩৩ রানের দাপুটে জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের যুবারা, যা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের সামর্থ্যের আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন