ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২
খরচ বেঁচে যাওয়ায় ৮ কোটি টাকা ফেরত পেলেন হাজীরা

সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় নিরাপদে পবিত্র হজ সম্পন্নের পর বাংলাদেশি হাজিরা সরকারের পক্ষ থেকে ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা বেঁচে যাওয়া খরচ ফেরত পেয়েছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের নির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থা বিশ্বের ভালো ব্যবস্থাপনার রেকর্ড গড়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসকে জানান, সৌদি আরবের নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে চলার কারণে সময়মতো হজ ফি পরিশোধ, মক্কা শরীফের কাছাকাছি বাসস্থান ব্যবস্থা, খরচ কমিয়ে হজযাত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এই সফলতায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও ৮৭,১০০ জন হাজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেনের নেতৃত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় গত এক বছরে হজ কার্যক্রম ছাড়াও ধর্মীয় সেক্টরে মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান প্রদান, মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা অব্যাহত রাখা এবং ওয়াক্ফ সম্পত্তি উদ্ধারসহ নানা অর্জন করেছে। রাজনৈতিক প্রভাববিহীনভাবে সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে।
২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ২০২৪ সালের তুলনায় ৭৩ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। এ বছর তিনটি নতুন সেবা চালু করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা এবং হজ প্রি-পেইড কার্ড বিতরণ। সরকারি অর্থ সাশ্রয়ে সীমিত জনবল নিয়োগ ও পদসৃজন প্রক্রিয়াও চলছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও উন্নয়নে মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ ও কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ও উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
দুস্থদের জীবনমান উন্নয়নে ৩,১৪০ জনকে ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে কোরআন শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ইমাম, মুয়াজ্জিন ও শিক্ষিত নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।
নেপালের লুম্বিনিতে বৌদ্ধ মঠ কমপ্লেক্স নির্মাণ অনুমোদিত হয়েছে যা বৌদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়ক হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে অসহায় ও অসুস্থদের প্রায় ১১ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে হাজারো ব্যক্তিকে অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়েছে। হাওর এলাকায় জীবনমান উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইমামদের মাধ্যমে সন্ত্রাস, মাদকাসক্তি, নারী-শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে।
ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়ের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে ডেডিকেটেড বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে এবং মামলা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের আইনজীবী প্যানেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও দুর্যোগে অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
ওয়াক্ফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় ম্যানুয়াল থেকে স্বয়ংক্রিয় অনলাইন সেবায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যা তথ্য মনিটরিং সহজ করবে। হজ অফিসকে অধিদপ্তরে উন্নীতকরণের কার্যক্রমও গ্রহণাধীন রয়েছে।
এই সব অর্জন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সফলতা ও উন্নয়নের সুনাম বহন করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির এজিএম
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ট্রাম্পের ২৫% শুল্কের জবাবে মুখ খুললেন মোদি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত