ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২
উমামার ‘রহস্যময়’ আবেদন ভাইরাল, তোলপাড়
.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শুধুমাত্র বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনীতি গ্রহণযোগ্য করে অন্য সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্যসচিব উমামা ফাতেমা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে একটি দরখাস্ত জমা দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই দরখাস্ত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেই দরখাস্তে উমামা ফাতেমা লেখেন, কবি সুফিয়া কামাল হলে আমরা গত বছরের ১৭ জুলাই সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসন থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি নিতে সমর্থ হই যে, সুফিয়া কামাল হলে সব ধরনের রাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস) নিষিদ্ধ থাকবে।
তিনি লেখেন, ‘গত এক বছরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের এই চুক্তি বলবৎ ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে কতিপয় সংগঠন গুপ্তভাবে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে হলে। অতঃপর আজ সকালে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদল হলে সাত সদস্যবিশিষ্ট হল কমিটি ঘোষণা করেছে।’
উমামা লেখেন, আমরা শিক্ষার্থীর মনে করি, তাদের এইসব কার্যকলাপ, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া উল্লিখিত চুক্তিকে ভঙ্গ করে যা স্পষ্টত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
এ দরখাস্তে চারটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে সেগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন উমামা ফাতেমা। কিন্তু বাম সংগঠনগুলো নিয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। যদিও হলে বামপন্থি শিক্ষার্থীরাও অবস্থান করছেন। কোনো কোনো হলে তাদের কমিটিও রয়েছে।
এর আগে তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুক্রবার রাতের মধ্যে এটি স্থগিত করার আলটিমেটাম দেন।
এ দরখাস্তের বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হামজা মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে লেখেছেন, ‘উমামা ফাতেমা হলে বাম রাজনীতি ছাড়া আর কোনো রাজনীতি চান না। এটা কেমন কথা? মানে হিপোক্রেসি এট ইট’স পিক! হল এবং একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির বিরুদ্ধে সবাই, আর উনি হচ্ছে বাম রাজনীতি ব্যতীত বাকি সব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
শুক্রবার রাতেই ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হল রাজনীতি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ধীরে ধীরে সব হলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভিসি চত্বরে জমায়েত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঘোষণা দেন যে সকল হলে প্রকাশ্য এবং গুপ্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে।
সার্বিক বিষয়ে ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হল প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। পাশাপাশি হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- ‘৪ আগস্ট রাতেই হাসিনা পতনের পরিকল্পনায় শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ’
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির এজিএম
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ট্রাম্পের ২৫% শুল্কের জবাবে মুখ খুললেন মোদি