ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলাদেশি মেরি জোবায়েদা নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির লড়াইয়ে

ডুয়া নিউজ- প্রবাস
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১৮:৫০:৩৩
বাংলাদেশি মেরি জোবায়েদা নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির লড়াইয়ে

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নতুন আলোচিত নাম মেরি জোবায়েদা, যিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ৯/১১ হামলার পরপরই উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এর পর নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপে পড়াশোনা করেন এবং ধীরে ধীরে যুক্ত হন রাজনীতিতে।

২০০৭ সালে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারণার মাধ্যমে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তার । পরে বিল থম্পসনের মেয়রাল প্রচারণায় কাজ করেন এবং একজন পাবলিক স্কুল শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।তিন সন্তানের মা জোবায়েদা এবার নিউ ইয়র্ক সিটির স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হতে চান। বর্তমানে ওই আসনের প্রতিনিধি জোহরান মামদানি যদি মেয়র নির্বাচিত হন, তবে আসনটি শূন্য হবে এবং সেখানেই বিশেষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান জোবায়েদা।

তিনি বলেন, এটি যেন আল্লাহর পরিকল্পনা। কারণ, দুই বছর আগে আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে ওই এলাকা এখন তার বসবাসের মধ্যে পড়েছে। তিনি নিজেকে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার (DSA) সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন এবং অভিবাসী, প্রগতিশীল ও সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেন।

তার নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে— সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক ও প্রি-কে প্রোগ্রাম এবং গণপরিবহন বিনামূল্যে করা, ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য অধিকার নিশ্চিত করা, এবং ছোটখাটো অপরাধে গ্রেপ্তার না করে সহমর্মিতা দেখানো।২০২০ সালে তিনি কুইন্সের ৩৭তম আসনে ক্যাথি নোলানের বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং মাত্র ১,৫০০ ভোটে হেরে যান।

নিউ ইয়র্ক শহরের আইন অনুযায়ী, যদি মামদানি ১ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে শপথ নেন, তবে গভর্নর ক্যাথি হোচুল ১১ জানুয়ারির মধ্যে বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। ডেমোক্রেটিক, রিপাবলিকান ও ওয়ার্কিং ফ্যামিলিজ পার্টি সবাই এই আসনে প্রার্থী দিতে পারবে।

যদিও স্থানীয় কিছু সংগঠন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থন দেয়নি, তবুও জোবায়েদা প্রচারে নামিয়ে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক, ডোনার খোঁজে নেমেছেন এবং দরজায় দরজায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বাস্তবতায়, সীমান্ত ইস্যু, অভিবাসন ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে জোবায়েদা এক নতুন আশার প্রতীক হয়ে উঠতে চান। তার ভাষায়, “এটা যেন প্রসববেদনার মতো— আমরা কষ্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সামনে জন্ম হবে এক নতুন, সুন্দর আমেরিকার।”

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত