ঢাকা, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২
কাদেরের অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বললেন সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবনে ছাত্রশিবিরের কিছু সদস্য ছাত্রলীগের ছদ্মবেশে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালাতেন—বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদেরের এমন বক্তব্যকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।
গতকাল রবিবার (৩ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী পোস্টে সাদিক কায়েম, কাদেরের মন্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা করে বলেন, “ছাত্রলীগে লুকিয়ে থাকা শিবিরকর্মীকে রক্ষা করা হয়েছে”—এই ন্যারেটিভ পুরোপুরি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেউই সেই সময় শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না এবং মামলার পরও তারা সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না।
সাদিকের ভাষ্য, “জুলাই বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ ছিল—এক, অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করা এবং দুই, নিরপরাধদের হয়রানি থেকে রক্ষা করা। সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নেতা ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে আসা তথ্য যাচাই করতে আমরা পারস্পরিক যোগাযোগ করেছিলাম। এতে নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার না হয়—সেটিই ছিল মূল উদ্দেশ্য।”
তিনি জানান, এনসিপির দুই নেতা আরমান হোসেন ও মাহিনকে কিছু অভিযোগ ভেরিফাই করার জন্য ফরওয়ার্ড করেছিলেন, তবে সেটি কোনো পক্ষকে বাঁচানোর জন্য ছিল না বরং তথ্য যাচাইয়ের অংশ।
স্ক্রিনশট রাজনীতি নিয়ে হুঁশিয়ারিআবদুল কাদেরের পোস্টে প্রকাশিত স্ক্রিনশট প্রসঙ্গে সাদিক কায়েম বলেন, “যে স্ক্রিনশট সে (কাদের) পোস্ট করেছে, সেটি আসলে তার সঙ্গে নয়, অন্যদের সঙ্গে হওয়া কথোপকথন। অন্যের ব্যক্তিগত চ্যাট এভাবে বিকৃতভাবে প্রকাশ করে ঘৃণ্য সংস্কৃতির সূচনা করা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেবে।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “এভাবে ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য ব্যক্তিগত আলাপ সামনে আনা শুরু হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে কারও ক্যারিয়ারই আর নিরাপদ থাকবে না। এনসিপি বা বাগছাসের অনেক ‘শিবির ব্যাশার’দের অতীতেও প্রশ্ন উঠতে পারে।”
সাদিক কায়েম কটাক্ষ করে বলেন, “অনেকে এক সময় ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য শিবিরের সঙ্গে সংযোগ রাখতেন, পরে ছাত্রলীগে গিয়ে ‘শিবিরবিরোধী নেতা’ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু যদি তাদের কোনও কর্মকাণ্ডের দায়ও শিবিরের ওপর চাপানো হয়, তাহলে সেটি হবে চরম বৈপরীত্য।”
আবদুল কাদের ও সাদিক কায়েমের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ঘিরে শিবির ও বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যকার পুরনো টানাপোড়েন আবার সামনে এসেছে। স্ক্রিনশট রাজনীতি, ব্যক্তিগত ফায়দা, এবং আদর্শিক সততার প্রশ্নে এ বিতর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে টিভি স্ক্রলে বিশেষ বার্তা
- ২৪ সেপ্টেম্বর ডুয়া’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, থাকবে নানা আয়োজন
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- সিটি ব্যাংক পোর্টফোলিও ম্যানেজারের শেয়ার জালিয়াতি, তদন্তে বিএসইসি
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান