ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
চীনে ভয়াবহ বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮

চীনের রাজধানী বেইজিং এবং পার্শ্ববর্তী হেবেই প্রদেশে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জনই বেইজিংয়ের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। কর্তৃপক্ষ ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ জুলাই থেকে বেইজিং এবং চীনের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও মৌসুমি ঝড় শুরু হয়। এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় বেইজিংয়ের মিয়ুন ও ইয়াংকিং জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু মিয়ুন জেলাতেই ২৮ জন এবং ইয়াংকিংয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী হেবেই প্রদেশে ভূমিধসে আরও চারজন নিহত এবং আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। কয়েকটি স্থানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রায় এক বছরের গড় বৃষ্টিপাতের সমান।
টানা বর্ষণে বহু সড়ক ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কারণে ১৩০টিরও বেশি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং শত শত কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক নষ্ট হয়ে গেছে। বেইজিং শহরের অন্তত ৩১টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি এখনও ব্যবহারের অযোগ্য। উদ্ধারকারীরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন এবং বুক সমান পানির মধ্য দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় "সর্বাত্মক অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা" চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে প্রশাসন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। কেন্দ্রীয় সরকার সড়ক ও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৫৫ কোটি ইউয়ান (৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলার) তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বেইজিংসহ ৯টি বন্যা কবলিত অঞ্চলের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ইউয়ান এবং রাজধানীর জন্য পৃথকভাবে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করা হয়েছে।
বুধবার চীনের আবহাওয়া দপ্তর বেইজিংয়ে ঝড়-বৃষ্টি বিষয়ক সতর্কতা প্রত্যাহার করলেও, পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে বৃষ্টির মাত্রা কমে এলেও তা আবার বাড়তে পারে। ১৯৫৯ সালে নির্মিত মিউন বাঁধের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ আশপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে।
এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু ঘরবাড়ি, দোকান এবং সরকারি কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বন্যার পানি এত দ্রুত বেড়েছে যে তারা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবকিছু প্লাবিত হয়ে যায়। ২০২৩ সালেও উত্তর চীনে প্রবল বন্যায় ৮০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা