ঢাকা, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২
গাজা ইস্যুতে মোদির নীরবতা ‘লজ্জাজনক’: সোনিয়া গান্ধী
.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে ‘গণহত্যা’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নীরবতাকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘সাংবিধানিক মূল্যবোধের সঙ্গে কাপুরুষোচিত বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভারতের হিন্দি ভাষার পত্রিকা ‘দৈনিক জাগরণ’-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সোনিয়া গান্ধী এই কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এর জবাবে ইসরায়েল সরকার গাজার সাধারণ মানুষের ওপর যে প্রতিশোধমূলক এবং ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে, তা চরম অপরাধের শামিল। তার মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “লজ্জাজনক নীরবতা” অত্যন্ত হতাশাজনক এবং এটি “নৈতিক কাপুরুষতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ”।
সোনিয়া গান্ধী তার লেখায় তুলে ধরেন, গত প্রায় দুই বছরে গাজায় ৫৫ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ হাজারই শিশু। হাসপাতালসহ বেশিরভাগ আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মতো মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা মানবসৃষ্ট বিপর্যয় তৈরি করেছে।
অনেক বিশ্লেষক ইসরায়েলের এই অভিযানকে "গণহত্যা" ও "জাতিগত নিধন" প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, এর ভয়াবহতা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’র (ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ) স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনছে।
তিনি আরও বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, বিশেষ করে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশকেও উপেক্ষা করে চলেছে, যার পেছনে আমেরিকার সমর্থন বড় ভূমিকা রাখছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ভারতের এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থাকে (পিএলও) স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং ১৯৮৮ সালে ভারত ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, “এই মানবিক সংকটের মুহূর্তে ভারত সরকারের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা জাতীয় লজ্জা। এটি আমাদের সংবিধানের প্রতি অবহেলা এবং নৈতিক দায়িত্বের অবমাননা।”
সোনিয়া গান্ধী তার প্রবন্ধ শেষ করেন এই বলে, “এখন সময় এসেছে ভারতের তার ঐতিহ্য অনুযায়ী স্পষ্ট, সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান
- ২২৭ কোটি টাকায় টোটালগাজ কিনে নিল ওমেরা পেট্রোলিয়াম