সেনাবাহিনীর সাথে জনতার ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর

রাজধানীর মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর দুর্ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড়ের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এক পর্যায়ে, উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে একদল জনতার ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের মতো অনভিপ্রেত ঘটনাও ঘটে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। তবে, এসময় উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় উদ্ধার ও আহতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজকে বারবার বাধাগ্রস্ত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাসদস্য এবং মাইলস্টোন কলেজের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের নিরাপদ স্থানে সরানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে, যা প্রাণহানির ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাসদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১৪ জন সেনাসদস্য অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আইএসপিআর আরও জানায়, বিকেলে উদ্ধারকাজ চলাকালীন কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এর ফলস্বরূপ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে জনতার একাংশের বাদানুবাদ হয়, যা একটি অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দেয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।