ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
চাঙ্গা বাজারেও বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর মন খারাপ, কিন্তু কেন?

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস আজ সোমবার (২১ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে এক উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি করেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে ৮৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড। পাশাপাশি ডিএসই'র প্রধান সূচক সাড়ে ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৯.৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
একই চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। আজ সিএসই'র সব সূচক বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকায়, যা আগের দিনের ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার চেয়ে বেশি। এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের শেয়ারবাজারের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা দিচ্ছে।
তবে এমন ইতিবাচক পরিসংখ্যানের মধ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্যণীয়। আজ ডিএসই এবং সিএসই উভয় বাজারেই লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ১১৭টির দর বেড়েছে, ২২৪টির দর কমেছে এবং ৫৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
একইভাবে সিএসইতে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৫টির শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়লেও, ১২১টির কমেছে এবং ৩৩টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সূচক এবং লেনদেন বাড়া সত্ত্বেও কেন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমল, তার প্রধান কারণ হলো মৌলভিত্তির এবং বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামে আজ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। এই বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি সূচককে উপরের দিকে টেনে নিয়ে গেছে, যা সামগ্রিক বাজারের চিত্রকে ইতিবাচক দেখাচ্ছে। আজ যেসকল বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: গ্রামীণফোন, বিএটিবিসি, লাফার্জহোলসিম, ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাইটেক, প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বিকন ফার্মা, আল-আরাফা ব্যঅংক, পূবালী ব্যাংক, সাইথইস্ট ব্যাংক, যমুনা অয়েল।
এমন পরিস্থিতি শেয়ারবাজারের একটি স্বাভাবিক প্রবণতাকেই নির্দেশ করে, যেখানে বড় বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, বাজারে তারল্য বাড়ছে এবং বিনিয়োগকারীরা এখন টেকসই ও নির্ভরযোগ্য কোম্পানিগুলোতেই অর্থ বিনিয়োগে মনোযোগী হচ্ছেন। যদিও ক্ষুদ্র ও মাঝারি মূলধনী অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে, তবুও মৌলভিত্তির শেয়ারের এই নেতৃত্ব বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং সুস্থ বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার