ঢাকা, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
বিভক্ত ব্রিটিশ বাংলাদেশি ৪ এমপি, নেপথ্যে নানা ইস্যু

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার দলের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার নারী। তারা হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আফসানা বেগম। কিন্তু একই রাজনৈতিক দলের হয়েও সময়ের পরিক্রমায় নানা বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছেন তারা। ব্যক্তিগত বিশ্বাস, সাংবিধানিক দায়িত্ব ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই চার এমপির মধ্যে দেখা দিয়েছে মতপার্থক্য ও বিভক্তি।
বাংলাদেশ ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থান:
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জুলাই ছাত্র আন্দোলন ঘিরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়। ওই আন্দোলনে গুলিতে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় সবচেয়ে সরব ছিলেন আফসানা বেগম। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসনের এই এমপি শুধু নিন্দা জানাননি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে সম্পদের তদন্ত চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও দিয়েছেন।
রুশনারা আলী ও রুপা হকও এই আন্দোলন এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়ে ও সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর জোর দেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক যিনি নিজেও লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে জনপ্রিয় তিনি এই বিষয়ে নীরব থেকেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও তিনি কৌশলে বিষয় এড়িয়ে যান।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও অভিবাসন নীতি:
২০২৫ সালের জুনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন রুশনারা, রুপা ও আফসানা। তবে একাধিক চেষ্টার পরও ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ব্যর্থ হন টিউলিপ।
ব্রিটেনে কিয়ার স্টারমার সরকারের নতুন অভিবাসন নীতিও তাদের বিভক্ত করেছে। যদিও চারজনই অভিবাসী পরিবারের সন্তান তবুও তারা অভিবাসন বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান নিতে পারেননি।
গর্ভপাত আইন: বিশ্বাস বনাম দায়িত্ব:
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্কিত একটি গর্ভপাত সংক্রান্ত বিল নিয়েও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন এই চার এমপি। বিলটি ২৪ সপ্তাহের পর গর্ভপাত বৈধ করার প্রস্তাব দেয় যা মুসলিম মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অনেকেই মনে করেন। টিউলিপ, রুপা ও আফসানা এই বিলে সমর্থন দিলেও রুশনারা আলী ভোট দেন বিরোধিতা করে। তার বক্তব্যে ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
কমিউনিটিতে প্রতিক্রিয়া:
ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এই বিভক্তি উদ্বেগ তৈরি করেছে। কমিউনিটি নেতা আকবর আলী বলেন, “তারা সবাই আমাদের কমিউনিটি থেকে উঠে এসেছেন। অথচ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের এমন প্রকাশ্য মতবিরোধে আমরা হতাশ। রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে তাদের এক কণ্ঠে কথা বলা জরুরি। না হলে ভবিষ্যতে তাদের প্রতি আস্থা হারাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।”
তিনি আরও বলেন, “চারজনই আমাদের গর্ব কিন্তু বিভক্তিতে সেই গর্ব ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই তারা মতপার্থক্য ভুলে বাংলাদেশ ও কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে একত্রে কাজ করবেন।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব