ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
ছাত্রদের দল গঠন ইস্যুতে কর্নেল অলি আহমেদের বিস্ফোরক মন্তব্য

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখনও অনেক অজানা অধ্যায় বাকি আছে। তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেবের কী হবে সেটা আল্লাহই জানেন। এখনো শুধু ট্রেইলার চলছে।টুথপেস্ট, স্নো-পাউডারের মতো বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে। মূল খেলা শুরু হয়নি।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “যে ছাত্ররা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তারা চাইলে একটি রেভ্যুলুশনারি গার্ডের মতো ভূমিকা রাখতে পারত। একটি ওয়াচডগ সংগঠনের মতো যেটা সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকত। কিন্তু তারা বরং রাজনৈতিক দল গঠনের পথে হাঁটলো।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক তাদের এমন সিদ্ধান্তে উসকানি দিয়েছে। এমনকি কিছু নাস্তিক ব্যক্তির সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ হয়েছে যারা তাদের বিপথে পরিচালিত করেছে।”
অলি আহমদ মনে করেন, ছাত্রদের এ ধরনের পদক্ষেপ দুঃখজনক এবং এতে মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, যখন আন্দোলন চলছিল প্রত্যেকদিন আমি দিনের ১০টা থেকে রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত ২-৩ জন লোক নিয়ে সমগ্র ঢাকাতে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে মনিটরিং করতাম। তখন আমাকে একজনে বলল, ‘স্যার এরা তো রাজনৈতিক দল করবে। ’ রাজনৈতিক দল করতে পারে তবে কী হবে জানো? বললেন, ‘না, স্যার। ’ আমি বললাম, গ্রামে কিছু লোকের ছেলেপেলে পয়সা থাকলে তারা বেলুন ফুটায়। বেলুন ফুলিয়ে রাস্তায় ঘুরে আর কিছু দুষ্টু ছেলে এসে সেটা ফুটা করে দেয়।
ছাত্রদের অবস্থা এটাই হবে। কারণ মাথার ওপরে ছায়া না থাকলে রোদ-বৃষ্টি সবকিছু সামাল দিতে হবে। তারা এনসিপি করেছে কিন্তু তাদের মাথার ওপরে কোনো ছাদ নাই। ইউনূস সাহেব তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না। ইউনূস সাহেবের কী অবস্থা হয় এটা আল্লাহই জানে। আরও অনেক ঘটনা বাকি রয়ে গেছে।
কর্নেল অলি আহমেদ বলেন, এখন মাত্র ট্রেইলার শুরু। এখন শুধু অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেখাচ্ছে, টুথপেস্টের দেখাচ্ছে, স্নো পাউডার দেখাচ্ছে। এখনো খেলা শুরু হয় নাই। তিন মাস আগের থেকে বলতেছি- আরও অনেক রক্তপাত বাকি আছে। কারণ এটা সম্পূর্ণ আকার ধারণ করেনি। অনেক পাগল আছে, বুদ্ধিজীবী পাগল। মাথা কাজ করে না। আল্লাহকে মানে না, রাসূলকে মানে না। কিন্তু টুপি মাথা ঠিকই দেয়। বিপ্লব, আন্দোলন ও যুদ্ধ- এটা কিন্তু পৃথক পৃথক জিনিস। এই গাধাগুলো যদি এই কথাটাই না বুঝে তাহলে কী লেখাপড়া করেছে? যুদ্ধ হলো একটা সশস্ত্র সংগ্রাম। দুই গ্রুপের মধ্যে অস্ত্র থাকে। দুই গ্রুপে যুদ্ধ করে। সেই যুদ্ধটা কী জন্য হয়? দেশকে স্বাধীন করার জন্য হয় বা অন্য দেশকে দখল করার জন্য হয়। এখানে তো এরকম কোনো ব্যাপার ছিল না। দেশকে স্বাধীন করার ব্যাপারও ছিল না। অধিকার করার ব্যাপারও ছিল না। এখানে ব্যাপারটা ছিল হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ করার, আওয়ামী লীগ মুক্ত বাংলাদেশ করার। সুতরাং বিপ্লব বা একদফার আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ একই জিনিস না।
এ সমস্ত মাথায় যারা টুপি দিয়ে কিছু পাগল ছেলেদেরকে বুঝাচ্ছে তাদেরকে আমি অনুরোধ করব পাগলামি ছাড়ো। গাঁজা খাওয়ার খাও। কিন্তু মানুষকে গাঁজা খাওয়ানোর চেষ্টা করো না।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে