ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
'শাটডাউনে' নেতৃত্ব দিয়ে দুদকের জালে এনবিআর কর্মকর্তারা!
.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান সংস্কার সংকটের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে তৃতীয় দফায় আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে এনবিআরের মোট ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কমিশন।
যাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তাঁরা হলেন, ঢাকা (পূর্ব) এর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা এবং কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ। তাঁদের বিরুদ্ধে দুদক প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) 'সংস্কার ঐক্য পরিষদ'-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে অভিযুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে সেহেলা সিদ্দিকা ছিলেন ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্যমতে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ করে দেন। আবার কেউ কেউ ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের হয়রানি করে থাকেন। এর ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
এর আগে একই ধরনের অভিযোগে আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাঁরা হলেন, অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, এনবিআর সদস্য লুতফুল আজীম, সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ-কর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম এবং যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান। এদের মধ্যে শিহাবুল ইসলাম, তারেক হাসান ও আব্দুল রশীদ মিয়া সংস্কার ঐক্য পরিষদের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এছাড়া গত ২৯ জুন এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের অধিকাংশই ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন, এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার ও পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার ও সহসভাপতি মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার ও পরিষদের সভাপতি হাসান তারেক রিকাবদার এবং অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কণ্ডু।
এই ছয় কর্মকর্তার মধ্যে পাঁচজনই এনবিআরের সাম্প্রতিক ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!