ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
দুই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!

মুনাফার প্রত্যাশায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু সেই বিনিয়োগ থেকে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান হলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সঙ্কট তৈরি হয়। বিশেষ করে ইতিবাচক বাজারেও যদি বিনিয়োগকারীরা মুনাফার পরিবর্তে লোকসানে পড়ে, তখন তাদের কষ্টের আর জায়গা থাকে না। তাই লোকসান এড়াতে ভালভাবে কোম্পানি সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগ করা উচিত।
গত এক মাসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১০০ পয়েন্টের বেশি। কিন্তু এমন ইতিবাচক বাজারেও গত এক মাসে আর্থিক খাতের ২ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ লোকসান হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানি ২টি হলো- ফারইস্ট ফাইন্যান্স এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স। এই ২ কোম্পানির গত এক মাসের মধ্যে ১৪ শতাংশের বেশি দর কমেছে। যেখানে আলোচ্য সময়ে অনেক কোম্পানির শেয়ারে ১৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা তুলেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় এ তথ জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে বা দর কমেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭০ পয়সা বা ১৫.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সায়। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৪০ পয়সা ছিল।
২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির আর্থিক খাতের কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা এবং ১৬৪ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৯৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি শেয়ারের মধ্যে ৩৯.৭৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১২.৫৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৪৭.৬৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
গত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসান হয়েছে বা দর কমেছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০ পয়সা বা ১৪.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকায়। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ২ টাকা ৮০ পয়সা ছিল।
২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির আর্থিক খাতের কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০০ কোটি টাকা এবং ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
কোম্পানিটির ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৩টি শেয়ারের মধ্যে ৪১.৩১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০.৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৩৮.৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিতে বিনিয়োগের পূবে তার ক্যাটাগরি, মূলধন, রিজার্ভ, ডিভিডেন্ডসহ সব দিক বিবেচনা করা উচিত। কোনো কোম্পানির ব্যবসা মন্দার কারণে বিনিয়োগকারীদেরকে ডিভিডেন্ড দিতে না পারায় কোম্পানিটির ক্যাটাগরি অবনতি হয়ে থাকে। পুঁঞ্জিভুত লোকসান যে কোনো কোম্পানির অত্যন্ত নেতিবাচক দিক। লোকসানী কোম্পানিতে বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। তা-না হলে মুনাফার পরিবর্তে লোকসানের পাল্লাই ভারি হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- ঢাবিতে বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত টিএসসি এলাকা