ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আনলো ইসি
.jpg)
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নতুনভাবে প্রণীত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বে কমিটি গঠন করার বিধান বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব সরাসরি নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর বর্তেছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিশনের নিজস্ব দায়িত্ব হলেও গত সংসদ নির্বাচনের আগে কমিশনের তৎকালীন নেতৃত্ব প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালে সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছিল, উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও’র নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এবং জেলা পর্যায়ে ডিসির নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি খসড়া ভোটকেন্দ্র তালিকা তৈরি করে তা মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে মতামতসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে কমিশনে পাঠাবে। তবে রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের তীব্র সমালোচনার মুখে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেই বিতর্কিত ব্যবস্থা বাতিল করে আবার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে।
নতুন নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও বাস্তবভিত্তিক করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদাহরণস্বরূপ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এছাড়া নারী ও পুরুষ ভোটারদের জন্য কক্ষ নির্ধারণেও মানদণ্ড দেওয়া হয়েছে—পুরুষ ভোটারের জন্য প্রতি ৫০০ জনে একটি কক্ষ এবং নারী ভোটারের জন্য প্রতি ৪০০ জনে একটি কক্ষ বরাদ্দ দিতে হবে।
এছাড়া ভোটারদের চলাচলের সুবিধা ও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় রেখেই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটার যেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে দূরের কোনো কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দিতে হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অন্যটির দূরত্ব তিন কিলোমিটারের বেশি না হওয়াই যথার্থ হবে। তবে কোনো দুটি কেন্দ্র যেন অত্যন্ত ঘনিভাবে এক জায়গায় না হয়, তাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বিদ্যমান কেন্দ্র যদি নদীভাঙনের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় বা ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়, তাহলে বিকল্প স্থানে কেন্দ্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে।
নির্বাচন কমিশন মনে করছে, এই নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে ভোটারবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশনের সক্ষমতা আরও জোরদার হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস