ঢাকা, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
শিক্ষা ব্যবস্থায় আবারও পরিবর্তন, আসছে নতুন কারিকুলাম

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আবারও আসছে নতুন কারিকুলাম, যা ২০২৭ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এটি চালু করা হবে এবং ধাপে ধাপে অন্যান্য শ্রেণিতেও এর প্রয়োগ হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর সচিব অধ্যাপক মো. সাহতাব উদ্দিন এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা করে নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) চলছে এবং আগামী জুলাই মাসে এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
এনসিটিবির কর্মকর্তাদের মতে, কারিকুলাম বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম আগামী বছর একটি রাজনৈতিক সরকারের অধীনেই সম্পন্ন হবে। কারণ, এটি সরকারের দিকনির্দেশনা ও নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে একটি নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিক্ষায় জোর দেওয়া। তবে অভিভাবকরা সেই কারিকুলাম স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করতে পারেননি এবং অভিযোগ ছিল যে এটি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সেই কারিকুলাম বাতিল করে ২০১২ সালের আগের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করা হয়।
এনসিটিবি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন কারিকুলামে অভিজ্ঞতালব্ধ, জ্ঞাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত পাঠদানের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। যদিও পাঠদান বা মূল্যায়নের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ২০২৩ সালের বিতর্কিত কারিকুলামের কিছু সময়োপযোগী দিক এবং ২০১২ সালের কারিকুলামের কার্যকর বিষয়গুলো নতুন কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই কারিকুলাম প্রণয়নের কাজটি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সম্ভব হবে না। কারণ এটি তাদের মূল ম্যান্ডেটের অংশ নয়। একটি শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যা ব্যাপক গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং জনগণের বৃহত্তর অংশের মতামতকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর জন্য একটি স্থিতিশীল ও নির্বাচিত সরকারের ধারাবাহিক সমর্থন এবং দিকনির্দেশনা অপরিহার্য, যা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বল্পস্থায়ী প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং বিভিন্ন অংশীজনের মতামতকে একীভূত করে একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক সরকারের দায়িত্ব, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে নিলা ইসরাফিলের বিস্ফোরক অভিযোগ