ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
অস্তিত্ব সঙ্কটে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, তদন্তে ডিএসই

অস্তিত্ব সঙ্কটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে ভবিষ্যতে টিকে থাকার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ। এমতাবস্থায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ইতিমধ্যে বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল ফার্মার সার্বিক আর্থিক ও অপারেশনাল অবস্থা ৩০ দিনের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করে, পরবর্তী সাত কর্মদিবসে তা কমিশনে দাখিল করতে হবে। এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এবং ডিএসই লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ অনুযায়ী তদন্ত চলবে।
যেসব বিষয় তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে, তার মধ্যে রয়েছে- সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির ১০৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান, ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতা, কোম্পানির টিকে থাকার সক্ষমতা (মড়রহম পড়হপবৎহ) নিয়ে নিরীক্ষকের সন্দেহ, প্রাইম ব্যাংক (মতিঝিল শাখা) ও ইসলামী ব্যাংক (শ্যামলী শাখা)-তে থাকা ব্যাংক হিসাব যাচাই এবং কোম্পানির প্রকৃত ব্যাংক ব্যালেন্স ও আমানতের অবস্থা পর্যালোচনা।
৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা, এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য কমেছে ৭ টাকা ৬ পয়সা।
২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৭.৬৭ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৬.২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৮৬.১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদী লোকসান, উচ্চ ঋণ, ও ডিভিডেন্ড না দেওয়ার প্রবণতা কোম্পানিটির টিকে থাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। একইসঙ্গে এত বেশি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে থাকায়, ভবিষ্যতে আরও শেয়ারদর পতন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৮ প্রতিষ্ঠান
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ২৩ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ১১ খবর