ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
ইউআইইউ
আন্দোলনের মুখে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

দিনভর আন্দোলনের মুখে ২২ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (২১ জুন) রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউআইইউ জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত মোস্তাসির বিল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, "উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আশা করছি ছাত্ররা এবার ক্লাসে ফিরে আসবেন। এরপর কেউ আন্দোলন করলে তার দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।"
এর আগে সকালেই রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় পাঁচ দফা দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা।
তারা অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা পুলিশের এই কর্তৃত্ববাদী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নানা নাকচ ও বিলম্বের কারণে তারা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা প্রশাসনের কাছে ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান মেলেনি।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, "জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিত। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।"
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন তা হলো—১. ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।২. বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।৩. ইউআইইউতে দীর্ঘদিন ধরেই চলমান অনিয়ম, অসুবিধা ও স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে রিফর্ম দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করা হোক।৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করা হোক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার