ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
ইউআইইউ
আন্দোলনের মুখে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

দিনভর আন্দোলনের মুখে ২২ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (২১ জুন) রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউআইইউ জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত মোস্তাসির বিল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, "উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আশা করছি ছাত্ররা এবার ক্লাসে ফিরে আসবেন। এরপর কেউ আন্দোলন করলে তার দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।"
এর আগে সকালেই রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় পাঁচ দফা দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা।
তারা অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা পুলিশের এই কর্তৃত্ববাদী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নানা নাকচ ও বিলম্বের কারণে তারা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা প্রশাসনের কাছে ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান মেলেনি।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, "জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিত। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।"
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন তা হলো—১. ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।২. বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।৩. ইউআইইউতে দীর্ঘদিন ধরেই চলমান অনিয়ম, অসুবিধা ও স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে রিফর্ম দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করা হোক।৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করা হোক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মারা গেলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার কারসাজি, তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে বিক্রেতা সংকটের নতুন দিগন্ত
- সরকারি চাকরিতে আসছে বড় পরিবর্তন