ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

পতনের মধ্যেও শেয়ার ছেড়েছেন ১১ কোম্পানির উদ্যোক্তারা

ডুয়া নিউজ- শেয়ারবাজার
২০২৫ জুন ২১ ২০:২০:০২
পতনের মধ্যেও শেয়ার ছেড়েছেন ১১ কোম্পানির উদ্যোক্তারা

দেশের শেয়ারবাজারে চলমান ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে গত দুই সপ্তাহে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এমন অস্থির ও পতনের বাজারেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা মে'২৫ মাসে নিজেদের কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন। এই ঘটনা বাজার সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং আস্থার সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ সাধারণত উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিকে কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও আমার স্টক সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচারকরা তাদের শেয়ার বিক্রি করেছেন। কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাপেক্স ট্যানারি, ব্যাংক এশিয়া, লাফার্জহোলসিম, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, যমুনা অয়েল, এইচআর টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকরা সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছেন পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৪৫.৬২ শতাংশ। মে মাসে তারা ৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৬২ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৭.৩১ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ২.৯৩ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.২৪ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৭.০৭ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ৪.০৭ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.১৪ শতাংশে।

অ্যাপেক্স ট্যানারি

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৩৬.০৮ শতাংশ। মে মাসে তারা ১.২৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.৮১ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৯.৭২ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.২৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ২৯.৪৪ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৪.২০ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ১.৫৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৭২ শতাংশ।

ব্যাংক এশিয়া

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৫২.৩৭ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.৯৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৫১.৪৩ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৮.৭৬ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.৫৮ শতাংশ কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৩৪ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৮.৮৭ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.৩৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৩০.৫১ শতাংশ। মে মাসে তারা ১.৬২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৮৯ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৫.৩৪ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ১২.১৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৪৯ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৫৪.১৫ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.৫৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩.৬২ শতাংশ।

এইচআর টেক্সটাইল

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৩৯.১১ শতাংশ। মে মাসে তারা ৪.৫৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.৫৪ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৩.২৯ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ১.১৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৪৮ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৭.৬০ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ৩.৩৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ারবেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০.৯৮ শতাংশ।

যমুনা অয়েল

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ২.৯০ শতাংশ। মে মাসে তারা সবগুলো শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের হাতে কোনো শেয়ার নেই। তবে কোম্পানিটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে সরকারের শেয়ার রয়েছে ৬০.০৮ শেয়ার অপরিবর্তিত রয়েছে। কেবল সরকার মনোনীত পরিচালকদের শেয়ার ২.৯০ শতাংশ বিক্রি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকদের শেয়ার ছিল ২৭.৬৩ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ২.৫৬ শতাংশ কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৮.৯৭ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.২৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৯.২৩ শতাংশে।

এছাড়া, আলোচ্য সময়ে বিদেশি শেয়ার ছিল ০.৪২ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.০৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ০.৫০ শতাংশে।

লাফার্জহোলসিম

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৬৩.৮৩ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.১৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৬৩.৬৫ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকদের শেয়ার ছিল ২১.১২ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.২৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ২১.৪১ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৪.২২ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ১৪.১২ শতাংশে।

এছাড়া, আলোচ্য সময়ে বিদেশি শেয়ার ছিল ০.৮৩ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.০১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ০.৮২ শতাংশ।

এনসিসি ব্যাংক

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৩৭.২৮ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.২৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৩৭.০১ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৩.০২ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ২৩.৭৭ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৯.৬০ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.৪৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৩৯.১৫ শতাংশে।

এছাড়া, আলোচ্য সময়ে বিদেশি শেয়ার ছিল ০.১০ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.০৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ০.০৭ শতাংশে।

প্রাইম ব্যাংক

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৪০.৩৫ শতাংশ। মে মাসে তারা ২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৩৮.৩৫ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৯.৭৪ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.০৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ২৯.৬৯ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৫.০৪ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ১.৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ২৬.৮৪ শতাংশে।

এছাড়া, আলোচ্য সময়ে বিদেশি শেয়ার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.২৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৫.১২ শতাংশে।

পূবালী ব্যাংক

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৩১.৪৯ শতাংশ। মে মাসে তারা ১.২৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৩০.২২ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৮.৭৭ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.৩৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ২৮.৪০ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৯.৬০ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ১.৬৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৪১.২৪ শতাংশে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

কোম্পানিটিতে ৩০ এপ্রিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিল ৩৪.৯০ শতাংশ। মে মাসে তারা ২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৩২.৯০ শতাংশে।

অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৯.৬১ শতাংশ। মে মাসে তারা ২.১২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার দাঁড়িয়েছে কমে ২৭.৪৯ শতাংশে।

একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৩৫.৪০ শতাংশ। মে মাসে তারা আরও ০.৫৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৯৬ শতাংশ।

এছাড়া, আলোচ্য সময়ে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ০.০৯ শতাংশ। মে মাসে তারা ০.০১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে ৩১ মে তাদের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৮ শতাংশে।

৩০ এপ্রিল সরকারের কাছে কোন শেয়ার ছিলনা। মে মাসে সরকার কোম্পানিটিতে নতুন শেয়ার কিনেছে ৩.৫৮ শতাংশ।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

আগামী ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

আগামী ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা... বিস্তারিত