ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
রেনাটার ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার: নতুন শর্ত আরোপ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা খাতের মৌলভিত্তির কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে কোম্পানির ব্যয় কমাতে ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর শর্তাবলীতে পরিবর্তন এনেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রেফারেন্স শেয়ারগুলো মেয়াদ শেষে বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে, যা আগে প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাধীন ছিল।
আগের প্রস্তাবিত প্রেফারেন্স শেয়ারের বৈশিষ্ট্য ছিল নন-কিউমিউলেটিভ, নন-পার্টিসিপেটিভ, রিডিমেবল (ফেরতযোগ্য) অথবা সম্পূর্ণ রূপান্তরযোগ্য। অর্থাৎ প্রেফারেন্স শেয়ারকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা বা ফেরত নেওয়া ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ইচ্ছাধীন ছিল।
তবে সংশোধিত নিয়মে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ রিডিমেবল (ফেরতযোগ্য) বিকল্পটি বাদ দিয়েছে। এর অর্থ হলো, প্রেফারেন্স শেয়ারগুলো মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণরূপে সাধারণ ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত হবে।
এই শেয়ার ইস্যুর পরিকল্পনা গত বছরের নভেম্বরে নেওয়া হয়েছিল এবং চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। পরের দিন স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করাবিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার (১৯ জুন) পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এই পরিকল্পনা পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। কোম্পানি জানিয়েছে, এই সংশোধন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রিডিমেবল বা সম্পূর্ণ রূপান্তরযোগ্য প্রেফারেন্স শেয়ার হলো এক ধরনের ইক্যুইটি বিনিয়োগ, যা প্রেফারেন্স শেয়ার এবং ঋণ বা সাধারণ ইক্যুইটি উভয় বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। রিডিমেবল প্রেফারেন্স শেয়ারগুলি ইস্যুকারী দ্বারা একটি পূর্বনির্ধারিত মূল্য বা তারিখে ফেরত কেনা হয়, যখন সম্পূর্ণ রূপান্তরযোগ্য মানে মেয়াদপূর্তিতে প্রেফারেন্স শেয়ারগুলি সম্পূর্ণরূপে সাধারণ ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত হবে।
১০ টাকা মূল্যের প্রেফারেন্স শেয়ার ছয় বছরের মেয়াদে শুধুমাত্র বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ইস্যু করা হবে। যেকোনো অবিক্রিত অংশ আবেদন এবং ব্যক্তিগত প্রস্তাবের মাধ্যমে চাহিদা পাওয়ার ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ করা হবে।
প্রেফারেন্স শেয়ার রূপান্তরের পর রেনাটার সাধারণ শেয়ার প্রায় ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সচিব মো. জুবায়ের আলম বলেন, যেহেতু শেয়ারগুলি ধীরে ধীরে ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত হবে, তাই কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ওপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শেয়ার ইস্যুর তৃতীয় বছর থেকে রূপান্তর শুরু হবে। রূপান্তরের আগে প্রেফারেন্স শেয়ার গ্রাহকরা ১৫ শতাংশ নির্দিষ্ট হারে সুদ পাবেন। শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি বছর তাদের প্রেফারেন্স শেয়ারের ২৫ শতাংশ রূপান্তর করার অনুমতি দেওয়া হবে, যাতে ষষ্ঠ বছরে রূপান্তর সম্পন্ন হয়। রূপান্তরের সময় সাধারণ শেয়ার প্রতি ৪৭৫ টাকা করে গণনা করা হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ