ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) মুনাফা থেকে লোকসানে চলে গেছে চার ব্যাংক। যেগুলো হলো- এবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এবি ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ৮ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর ছিল মাইনাস ২০ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২৯ টাকা ০৯ পয়সা
আইএফআইসি ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ২১ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ০৪ পয়সা। আগের বছর ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ০১ পয়সা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর ছিল মাইনাস ১৮ টাকা ৫৩ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২১ টাকা (পুন:মূল্যায়িত)।
স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ২১ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছর ছিল মাইনাস ৭৮ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ৮৯ পয়সা (পুন:মূল্যায়িত)।
যদিও আলোচ্য চার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল হতাশাজনক, এটি একটি পুনর্গঠন এবং কৌশলগত পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। লোকসানের এই চিত্র ব্যাংকগুলোকে তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে। বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন, কঠোর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকরী ঋণ আদায়ের মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলো তাদের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে আবার মুনাফার ধারায় ফিরতে পারে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস