ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) মুনাফা থেকে লোকসানে চলে গেছে চার ব্যাংক। যেগুলো হলো- এবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এবি ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ৮ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর ছিল মাইনাস ২০ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২৯ টাকা ০৯ পয়সা
আইএফআইসি ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ২১ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ০৪ পয়সা। আগের বছর ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ০১ পয়সা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর ছিল মাইনাস ১৮ টাকা ৫৩ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২১ টাকা (পুন:মূল্যায়িত)।
স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ২১ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছর ছিল মাইনাস ৭৮ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ৮৯ পয়সা (পুন:মূল্যায়িত)।
যদিও আলোচ্য চার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল হতাশাজনক, এটি একটি পুনর্গঠন এবং কৌশলগত পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। লোকসানের এই চিত্র ব্যাংকগুলোকে তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে। বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন, কঠোর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকরী ঋণ আদায়ের মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলো তাদের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে আবার মুনাফার ধারায় ফিরতে পারে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
- জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণ, ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক
- বিএসইসির তদন্তের জালে শেয়ারবাজারের ৫ ঋণগ্রস্ত কোম্পানি