ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক: হতাশ সারজিস

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ১৩ ২২:২৮:৪৮
ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক: হতাশ সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য এবং দেশের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের সু-সম্পর্ক কাম্য। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের এই বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।

তবে সারজিস আলম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য মাস ও তারিখ নিয়ে আলোচনা যতটা গুরুত্ব পেয়েছে, ততটা গুরুত্ব পায়নি বিচার, সংস্কার এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের জনগণের অন্যতম আকাঙ্ক্ষাগুলো। তিনি উল্লেখ করেন, এই সরকার কেবল একটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য নয়, বরং একটি অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষের রক্ত-ত্যাগ ও সংগ্রামের ভিত্তিতে গঠিত এবং তা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসের মধ্যেই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করাই এখন প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তার ভাষায়, ‘এই সনদ রচিত হওয়ার আগে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব বিস্মরণের সামিল।’

পোস্টে সারজিস আরও মন্তব্য করেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রশাসনকে প্রভাবিত করা ও পেশিশক্তির দাপটের মতো অপব্যবহার চলছে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা।

তিনি বলেন, নির্বাচন এপ্রিল হোক বা ফেব্রুয়ারি তার চেয়ে বড় বিষয় হলো নির্বাচনের আগে সেই জুলাই সনদ, বিচার ও মৌলিক সংস্কার আদৌ হচ্ছে কি না। তা না হলে এই অভ্যুত্থান কেবল ক্ষমতা বদলের নামান্তর হয়ে থাকবে, আর সেই ঐতিহাসিক দায় এই সরকার এড়াতে পারবে না।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত